সিলেটের বিশ্বনাথে পূর্ব বিরোধদের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অনন্ত ১০জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের সেবুল মিয়ার ভাগনা জাহেদ আহমদ ও একই গ্রামের আসাদুর রহমানের বাতিজা সাঈদী মিয়ার লোকজনের মধ্যে এঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন-সেবুল মিয়ার স্ত্রী ছালেহা বেগম (৩৫), ভাগনা খালেদ আহমদ (১৭), জাহেদ আহমদ (১৯), ভাগনী রুমি বেগম (২৫), সাঈদী মিয়ার চাচা আসাদুর রহমান (৩২) চাচী আছিয়া বেগম (২৮)। বাকি আহতদের নাম জানাযায়নি। এরই মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ছালেহা বেগম, রুমি বেগম, আসাদুর রহমান ও আছিয়া বেগমকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনে। জানাগেছে, উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের সেবুল মিয়ার ভাগনা জাহেদ আহমদের সঙ্গে আসাদুর রহমানের ভাতিজা সাঈদী মিয়ার সঙ্গে কিছুদিন আগে ফুটবল খেলা নিয়ে মারামারি হয়। বিষয়টি আপোষ-মিমাংসার উদ্যোগ গ্রহন করেন স্থানীয় লোকজন। গতকাল শুক্রবার বিষয়টি নিস্পত্তির কথাও ছিল। কিন্তু গতকাল শুক্রবার সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটি হয়। এরই জের ধরে বেলা ৩টায় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের অনন্ত নারীসহ ১০জন আহত হয়েছেন।এব্যাপারে সেবুল মিয়ার বোন মর্জিনা বেগম বলেন, হঠাৎ করে সাঈদর পক্ষের লোকজন লাঠি-সোটা নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে হামলা চালায় এবং দরজা-জানালা ভাংচুর করে। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ ছুটে আসায় আমরা রক্ষা পাই।আসাদুর রহমানের পিতা ফিরোজ আলী বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। জাহেদ পক্ষের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হন। সংঘর্ষের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তবে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।