দিনাজপুর রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ও নকল নবিশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ

দিনাজপুর রেজিষ্ট্রি অফিসের দুইজন দলিল লেখক ও নকল নবিশের বিরুদ্ধে র‌্যাব-১৩‘র অধিনায়কের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

যাদের নামে অভিযোগ করা হয়েছে তারা হলেন- সদর উপজেলার উত্থরাইল মোল্লাপাড়া গ্রামের মোঃ এমদাদ আলীল ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম (৩৯) ও একই উপজেলার তাজপুর নয়াহাট গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ তারেক((৩৭)।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৩ বছর যাবত সরকারী ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে সিএস/এসএ/আরএস, খাজনা রশিদ তৈরি করে আসছে। তারা বয়স্ক সিনিয়র দলিল লেখকদের উপর টেন্ডারবাজী,অস্ত্র,সস্ত্র করে চাঁদা দাবী করে আসছে। তা দিতে অস্বীকার করলে মাস্তানবাহীনি ভাড়া করে এনে মারপিট,ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে জোর পূর্ভক দলিল লেখক দ্বারা বে-আইনি কাজ করে নেয়। আসামীরা অফিস রুমে মাদক সেবন করে থাকে। সমিতির লোকজন মাদক সেবনে বাঁধা দিলে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজসহ রাজনৈতিক নেতাদের নাম ভাঙ্গীয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে থাকে।

গত ২০১৭ সালে দলিল নং ৫৫৪৫ এর বিএস দাগ ৭১৯ ও ৭২০ শ্রেণী ডাঙ্গার পরিবর্তে সহরী,দলিল নং ৮৮৫৫ আর এস দাগ নং ৯১৮, শ্রেণী বাড়ীর পরিবর্তে ডাঙ্গ্ করে রেজিষ্টি করে। উক্ত দাগটি ১ নং কাস খতিয়ান ভূক্ত সম্পত্তি। দলিল নং ৩৯৯৬ বিএস দাগ নং ৪৭০৮ দলার পরিবর্তে সহরী এবং দলিল নং ২৭৮৭, সিএস দাগ নং ৫৫৩৫দলার পরিবর্তে ,দলিল নং ৭৫৪৭ পুকুর পাড়ের স্থলে কাঁচলা করে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে রেজিষ্ট্রী করে। যার ফলে সাব রেজিষ্টার(বর্তমানে বীরগঞ্জে কর্মরত)মোঃ জহুরুল হকের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়।

সর্বশেষ গত ২৮ নভেম্বর দুপুরে শহরের উপশহরের ৫ নং বøকের বাসিন্দা মেরীন ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সুমন দলিল উটানোর জন্য দিনাজপুর রেজিষ্ট্রী অফিসে মটর সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় তারা রেজিষ্ট্রী অফিসের সামনে রাস্তার উপর দাড়িয়ে থাকায় সাইড না দিলে মটর সাইকেলে হর্ণ দেন। এ কারণে অভিযুক্তরা মেরীন ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সুমনকে মারধর করে। পরে সেখানে উপস্থিত দলিল লেখকরা তা মিমাংসা করে দয়ে। পরে তারা দলিল লেখকদের উপর চড়াও হয়। কারণ তারা মেরীন ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সুমনের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে কিছু নিতে পারেনি।

সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম রফিকুল ইসলাম সংগঠনের প্যাডের পাতায় মোঃ শরিফুল ইসলাম ও মোঃ তারেকের বিরুদ্ধে র‌্যাবের কাছে এই অভিযোগ করেন। যাতে বাংলঅদেশ দলিল লেখক সমিতির ৫০ জন সদস্য স্বাক্ষর করছেন। তারা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রঞণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।