বীরগঞ্জে স্বামীর পরকিয়া প্রেমে বাধা দেয়াায় গরম খুন্তি দিয়ে ঝলসে দেওয়া হলো গৃহবধুকে

বীরগঞ্জে স্বামীর পরকিয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় গরম খুন্তি দিয়ে ঝলসে দেওয়া গাল নিয়ে গৃহবধু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

উপজেলা সদর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে শিবরামপুর ইউনিয়নের গনপৈত গ্রামের আব্দুর মোতালেবের মেয়ে আমেনা খাতুন (২৫) সোমবার ২ ডিসেম্বর বিকেলে জানায়, একই উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ব্রাহ্মনভিটা নালেরপাড় এলাকার হায়দার আলীর ছেলে আলী আকবরের সাথে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে ২০০৮ইং বিয়ে হয়।

বিয়ের পর হতে তারা স্বামী-স্ত্রী ঢাকার মিরপুর-২ এ বসবাস করে আসছিল। তাদের ঘরে ১টি কন্যা (১৩)ও ১টি পুত্র (৭) সন্তান রয়েছে। কিছুদিন পূর্ব থেকে আলী আকবর এক পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পরে। আমেনা পরকিয়ায় বাধা দিলে নেমে আসে শারিরিক নির্যাতন। আলী আকবর ৭/৮ দিন পূর্বে রাতে বাড়ী ফিরে আমেনার উপর শারিরিক নির্যাতন শুরু করে। পাষন্ড স্বামী হাত-পা বেধে গ্যাসের চুলায় খন্তা গরম করে গালে ছ্যাকা লাগিয়ে দিয়ে গাল পুড়ে দিয়ে ঘরে আটক করে রাখে।

সুযোগ পেয়ে আমেনা ভাইয়ের বাড়ীতে পালিয়ে গিয়ে বাবা মা কে সংবাদ দেয়। আমেনার বাবা মোতালেব, চাচা বেলাল হোসেন ১ ডিসেম্বর ঢাকা গিয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় আমেনাকে উদ্ধার করে ২ ডিসেম্বর দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জে গ্রামের বাড়ী গনপৈত গ্রামে নিয়ে আসে। সংবাদ পেয়ে শিবরামপুর ইউ.পি সদস্য ছফিউল্লাহ্, সাবেক ইউ.পি সদস্য এনামুল হক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শিক্ষক অমূল্য রতন রায় আমেনা খাতুনকে তার বাবার বাড়িতে দেখতে এসে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

আমেনার শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে ৩ ডিসেম্বর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের ডা: সমরেশ দাস তার উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করেন। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত আমেনা দিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অপরদিকে তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।