বিশ্বনাথে কৃষকের আঙিনায় ভরে উঠছে সোনালি ধান, মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক

সোনালী ধানের মিষ্টি গন্ধে মেতে উঠেছে বাংলার জনপদ। মাঠে মাঠে এখন রোপা আমন ধান কাটা ও মাড়াই পুরোদমে শুরু হয়েছে। সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। মাঠে মাঠে পাকা ধান কাটার ধুম পড়েছে। ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। কৃষকের আঙিনা ভরে উঠছে সোনালি ধান, মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। ফসলের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠছে সারা বাড়ি। উঠনে ছড়ানো সোনালি ধান। সাথে আনন্দের বন্যা। কন্যা-জায়া-জননীর ব্যস্ততা এখন দিনরাত।বিশ্বনাথের হাওড় জুড়ে পাঁকা ধানের শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। কৃষান-কৃষানীরা মনে বইছে আনন্দের বন্যা। উপজেলা জুড়ে আমন ধানের ভাল ফসলে আবারও বাধ-ভাঙ্গা আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেছে কৃষক-কৃষাণীরা। দিগন্তজুড়ো সোনালী ফসলের মনোরম দৃশ্য এখন গোটা উপজেলা জুড়ে। চলছে এখন পুরোধমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। ফসল কাটার মহোৎসবে ব্যস্ততম সময় কাটাচ্ছেন এখানকার কৃষকরা। শীতের সকাল থেকে পড়ন্ত বেলা পর্যন্ত মাঠে-মাঠে ফসল কর্তনের চিরাচারিত দৃশ্য দেখা যাচ্ছে গ্রামজুড়ো। একদিকে কৃষকরা ধান কেটে বাড়ির আঙ্গিনায় জড়ো করছেন। অপরদিকে গরু বা বোমা মিশন দিয়ে একই সঙ্গে মাড়াই কাজ সম্পন্ন করছেন কৃষকরা। মাড়াই শেষে বাতাসে ধান উড়িয়ে বাকি কাজটুকু সম্পন্ন করে গোলায় তোলার কাজে এখানে কৃষাণীরা ব্যস্ত কাটাচ্ছেন। উপজেলার গ্রামে-গ্রামে ও মাঠের পর মাঠ সোনালী ফসল ঘরে তোলার মহা উৎসব। বাতাসে ছড়ানো আমনের মৌ-মৌ গন্ধ আর কৃষক-কৃষানীদের ফসল ঘরে তোলার কর্মব্যস্ততা এখানে এক অন্যরকম আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে।উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে এবছর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ১৩,৩১০ হেক্টর আমন ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। এরই মধ্যে উপসী জাতের প্রায় ৯৫৫০হেক্টর ও স্থানীয়জাতের ৩৭৬০ হেক্টর। চলতি সপ্তাহে পুরোধমে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানাযায়, উপজেলার সরুয়ালা, ধীতপুর, চান্দশীরকাপন, জানাইয়া, কারিকোনা, পূর্ব শ্বাসরাম, একাভিম, দন্ডপানিপুর, তাতিকোনা, মোহাম্মদপুর, পশ্চিম শ্বাসরাম, সেনারগাঁও, সুড়িরখাল, ভোগশাইল, মন্ডলকাপন, হরিকলস, পুরানগাঁও, মসলিস ভোগশাইলসহ অনেক গ্রামে কৃষকরা ধান কাটার শুরু হয়েছে।এব্যাপারে উপজেলার পুরানগাঁও গ্রামের কৃষক আবদুল মালিক, জাকির হোসেন, আবদুল আহাদ জানান, এবার আমন ধান ভান ফলন হয়েছে। কিছু ধান কাটতে শুরু করেছি। আমাদের এলাকায় পুরোধমে ধান কাটা শুরু হয়েছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী বলেন, এ বছর উন্নত জাতের বিনা-৭, বিআর-১১, ব্রি-ধান-২২, ৩২, ৩৪, ৪৯, ৫১, ৫২ ও স্থানীয় জাতের জরিসাইল, কালোজিরা, হাসিম, বিরুণ, কার্তিকশাইল জাতের ধান চাষাবাদের ফলে এবছর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে আশা করা হচ্ছে কৃষকেরা আশানুরুপ ফলন গোলায় তুলতে পারবে।