বীরগঞ্জে আলোকিত মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান ১৩০ থেকে ১হাজার ৬৮৫জন ছাত্রছাত্রী

শিক্ষাই জাতির মেদন্ড ও জ্ঞানই শক্তি এই ¯েøাগান বাস্তবায়ন ও আলোকিত মানুষ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ১৯৮৭ইং-১৩৭জন ছাত্র/ছাত্রী নিয়ে তৎকালিন সদর মহকুমা প্রশাসক আব্দুল জব্বার উদ্বোধন ও আলোকিত মানুষ গড়ার যাত্রা শুরু হয়। স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিত্ব প্রয়াত আলহাজ্ব হবিবর রহমান, প্রয়াত খেরাজ উদ্দিন শাহ্, প্রয়াত আলহাজ্ব আব্দুল বাসেদ প্রয়াত ফজলুল করিম, আজিজুল হক, আসগর আলী শাহ্, আব্দুল লতিফ মিয়াসহ অন্যান্য শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিবর্গের আন্তরিকতায় ইব্রাহিম কিন্ডার গার্টন স্কুল চালু করা হয়।

১৯৮৯ইং-উল্লেখিত গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রহমান খান, মুন্সেফ শামসুর রহমান ম্যাজিষ্ট্রেট আঃ তঃ মোঃ জাকির হোসেন এর অনুপ্রেরনায় ইব্রাহিম কিন্ডার গার্টন স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০২ইং-প্লে শ্রেণ হতে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত কলেকরে বৃদ্ধি করে ইব্রাহিক মেমোরিয়াল শিক্ষা নিকেতন নামে কার্যক্রম শুরু করা হয়। ২০০২ই-জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অংশ গ্রহনের অনুমতি, ২০০৫ইং-প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার অনুমতি, ২০০৭ইং-৯ম শ্রেণীর রেজিষ্ট্রেশন, ২০০৯ইং-এসএসসি পরীক্ষার অনুমতি গ্রহন করা হয়।

সেই মোতাবেক প্রাথমিক-জুনিয়র বৃত্তি ও এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে উপজেলায় সর্বোচ্চ ফলাফল করে আসছে। লেখাপড়ার সার্বিক মানোন্ননে দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীদের বিষয় বিবেচনা করে ২০১৬ইং-১০০ শর্য্যার আবাশিক চালু করা হয়েছে। ২০১৪-২০১৯ইং-পিইসি পরীক্ষায় ৪৩০জন অংশ গ্রহন করে শতভাগ পাশ জিপিএ-৫ ২০৪ জন, ট্যালেন্ট-৫৮ জন ও সাধারন-৩১। একই সময়ে জেএসসি পরীক্ষায়-৫২৩ অংশ গ্রহন করে শতভাগ পাশ জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫২ জন, ট্যালেন্ট-৯জন, ও সাধারন-৩৯জন। একই সময়ে এসএসসি পরীক্ষায় ৪৬০জন অংশ গ্রহন করে শতভাগ পাশ জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৮ জন, জিপিএ-৪ পেয়েছে ২৬৮ জন, জিপিএ-৩.৫ পেয়েছে ৮২ জন ও জিপিএ-৩ পেয়েছে ২২ জন।

২০১৯ইং-প্রাথমিক পর্যায় ছাত্রছাত্রী ৭৭৮জন, মাধ্যমিক পর্যায় ছত্রছাত্রী ৯৪৭জন সহ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা-১হাজার ৬৮৫জন। মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষক/শিক্ষিকার সংখ্যা-২৯জন, প্রাথমিক পর্যায় শিক্ষক/শিক্ষিকার সংখ্যা-২৪জন, অফিস স্ট্যাফ- সংখ্যা-১৩জন ও আবাশিক স্ট্যাফ ১০জন সহ সর্বমোট শিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা-৭৬জন। উল্লেখ্য-পৌরসভার মাকড়াই মহল্লার বাসিন্দা আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট মোঃ হামিদুল ইসলাম বলেছেন, মৃত. খোদা বখ্স আমার দাদু ছিলেন তার ছেলে মরহুম ইব্রাহিম মিয়া আমার বাবা ১৯৫৭ইং ইন্তেকাল করেন।
মরহুম ইব্রাহিম মিয়া একজন শিক্ষনুরাগী ব্যাক্তি ছিলেন। নানা প্রতিকুলতার কারনে তিনি মনের ইচ্ছা পুরন করতে পারেনি। তাঁর অবর্তমানে একমাত্র পুত্র সন্তান আমি এলাকার গুনিজন ও শ্রর্দ্ধেয় ব্যাক্তিকর্গের মতামতের ভিত্তিতে মরহুম বাবা ইব্রাহিম মিয়ার নামে ইব্রাহিম মেমোরিয়াল শিক্ষা নিকেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো জানান, বিগত দিনে এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহন করে দেশে-বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী শিক্ষা গ্রহন ও সরকারী/বেসরকারী চাকুরী করছে।