মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ আধুনিক বৈদ্যুতিক বাতির আলোর উৎসবে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন সেই মাটির প্রদীপ। বাজারে সেই প্রদীপের কম চাহিদা থাকায় প্রায় বন্ধের মুখে এই শিল্প। মৃৎশিল্পীরা ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাঠির প্রদীপ তৈরী করতে ব্যস্ত সময় পাড় করতেন। মাটির সোঁদা গন্ধে গন্ধে আর মৃৎশিল্পির নিপুণ হাতের স্পর্শ দিয়ে চাকার ওপর বন বন করে মাটির দলা ঘূর্ণির বেগে ছুটতে থাকা সেই নরম মাটি দিয়ে ছোট্র প্রদীপ, বড় প্রদীপ তৈরী করা হয়। মৃৎশিল্পীর গলায় আক্ষেপের সুরে বলেন- ডিজিটাল যুগে যে হারে বিভিন্ন দেশী-বিদেশী লাইট, টুনি বাল্ব ও নানা ধরনে এল লে ডি লাইট এসেছে সেই তুলনায় হাতে গড়া মাটির প্রদীপের বিক্রয় একধম হয়নি। সরকারী ভাবে উদ্যাগ গ্রহণ করা হলে এ শিল্প রক্ষা পাবে এবং গ্রাহকের চাহিদা বাড়বে বলে আশাবাদী। উইকিপিডিয়া তথ্য এবং বৃদ্ধ লোকজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে- হিন্দু ধর্ম অনুসারীরা বাড়ী-ঘর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে ঘরে ঘরে অমঙ্গল বিতাড়নের প্রতীক হিসাবে প্রদীপ জ্বালাতেন। লোক কথায় শোনা যায়, এই প্রদীপ সজ্জার মাধ্যমে পরিবারের পিতৃপুরুষদের অনুষ্ঠানে পদার্পণ করার জন্য নিমন্ত্রণ পাঠানো হত।