পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এক্র-রে মেশিন বিকল থাকায় চিকিৎিসা সেবা ব্যহৃত হচ্ছে। হাসপাতালে এসে সেবা না পেয়ে হয়রানির শিকার হয়ে ফিরে যেতে হচেছ সাধারণ মানুষদের। বছররে পর বছর এমন হয়রানির জন্য অনেক সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সংগে সাধারণ মানুষের নানা অসৌজন্যমূলক আচরণের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষ হাসপাতালে সেবা না পেয়ে পাবনা সদরে বিভিন্ন ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
জানাযায়, জেলার আটঘরিয়া উপজেলার প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের চিকিৎসা সেবা পাওয়ার জন্য একমাত্র অবলম্বন ২৯ শয্য বিশিষ্ট হাসপাতালটিতে এক্র-রে মেশিন দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ বিকল অবস্থায় পরে রয়েছে।
এবিষয়ে, আটঘরিয়া পৌরসভার উত্তরচক মহল্লার ভুক্তভোগী নুর হোসেন জানান, আমরা গরীব মানুষ। সরকারি হাসপাতালে এসে বিনামূল্যে সেবা নিব। কিন্তু এখানে এসে সেবা না পেয়ে পাবনা সদরে গিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা নিতে হয়। এতে আমাদের অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।
এবিষয়ে সদ্যযোগদানকৃত আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মোঃ রফিকুল হাসান জানান, ২০০৪ সালে সরকারী ভাবে একটি এক্র-রে মেশিন এখানে বরাদ্দ হলেও সেই মেশিনটি কিছুদিন কাজ করার পরেই বিকল হয়ে যায়। দীর্ঘ ১৫ বছরে মেরামতের জন্য ১২ বার এবং নতুন মেশিন কেনার জন্য ৭ বার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত পত্র প্রেরণ করলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, মেশিনটি না থাকায় আমরা উপজেলার গরীব ও সাধারণ মানুষকে পরিপূর্ণরূপে সেবা প্রদান করতে পারছিনা। এসকল সেবার জন্য রোগীদের জেলা শহরে পাঠাতে হয়। এসকল কারনে সাধারণ রোগীদের সংগে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের সংগে সাধারণ মানুষের অপ্রত্যাশিত আচরণের সম্মুখীন হতে হয়।
উপজেলার সাধারণ মানুষের দাবী হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়ন করতে এক্র-রে মেশিনসহ সকল উপকরন সরবরাহ করতে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ অত্যান্ত জরুরী।