বেনাপোল কাস্টমসে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম ও ভোগান্তি আত্মীয়করনের অভিযোগ অতিরিক্ত কমিশনারের বিরুদ্ধে

বেনাপোল কাস্টমসে বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষায় নির্বাচন কমিটির সভাপতি ড. নেয়ামুল ইসলামের বিরুদ্ধে সীমাহিন দূর্ভোগ ও আত্মীয় করনের অভিযোগ তুলেছেন পরীক্ষার্থীরা। শুক্রবার সকাল থেকে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে এ পরীক্ষা শুরু হয়।

জানা যায়, উচ্চমান সহকারী, কম্পিউটার অপারেটর ও ক্যাশিয়ার, গাড়িচালক, ইলোকট্রেশিয়ান, টেলিফোন অপারোটর, নিরাপত্তা প্রহরী ও সিপাইসহ ১৩টি পদে লোক নেবে ৯৪ জন। কাস্টমস সিপাইসহ বিভিন্ন পদে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করছেন ২৭ হাজার ১শ জন পরীক্ষার্থী। প্রথম দিনে শারিরীক ফিটনেস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসেছেন পরীক্ষার্থীরা। তবে কাস্টমসের অব্যবস্থাপনার কারনে তাদের দূর্ভোগ ও ভোগান্তি বেড়েছে।

ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী কাওছার সহ অনেকে জানান, কাস্টমসে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় কাজের ধীর গতীতে তাদের ভোগান্তি বেড়েছে। পরীক্ষা দিতে কাস্টমসের ভিতরে ঢুকতে না পেরে প্রধান সড়কের উপর অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সেখানে আশপাশে বসার কোন ব্যবস্থা নাই। টানা রোদে দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। যানবাহনে দূর্ঘটনার ঝুকিও রয়েছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ্য প্রবেশ পত্রে সকাল ১১ টায় পরীক্ষার সময় উল্লেখ্য করেছেন। এখনে এসে দেখি ভিন্ন রকম। ৩ টা পর্যন্ত দাড়িয়ে থাকলেও এখন পর্যন্ত ডাকা হয়নি। কখোন সিরিয়াল পাব জানতে পারছিনা। রাস্তার উপর দূর্ভোগে দাড়িয়ে আছি। অনিয়মের কারনে পরীক্ষার্থীদের দূর্ভোগ আরো বেড়েছে। আত্মীয় করনের অভিযোগ তোলেন কমিটির প্রধানের বিরুদ্ধে। তবে তারা আশা করছেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ কোন প্রভাব বিস্তার করবেন না।

এদিকে পরীক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয় গুলো নিয়ে, নিয়োগ নির্বাচন কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলামের সাথে কথা হলে, তিনি বলেন, এখানে সাংবাদিকদের তো কোন আমন্ত্রন করা হয়নি। পরীক্ষার বিষয়ে কোন কিছু লেখা লেখিতে সাংবাদিকদের কোন কাজ আছে বলেও আমার মনে হয়না। তিনি সংবাদকর্মীদের কোন তথ্যও দেয়নি।