জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রাম শেষ হয়েছে কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। কিন্তু এখনো দারিদ্র, অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক অবিচার ও মানুষে মানুষে ভেদাভেদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শেষ হয়নি। এই মুক্তি সংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিস মিলনায়তনে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পার্টির প্রতিনিধি সম্মেলনে এসব কথা বলেন জিএম কাদের।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পার্টির আহবায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা জাফর উল্লা মজুমদার আজাদ।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, যে মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলেন, দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তাদেরই দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়তে মুক্তিযোদ্ধাদের এগিয়ে আসতে হবে। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ শুধু মুখেই মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বলেননি, প্রতিটি কাজে প্রমাণ করেছেন। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সম্মানিত করেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অফিস এবং ভাতার ব্যবস্থা করেছিলেন পল্লীবন্ধু। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেওয়ার সেই ধারাকে আরও সম্বৃদ্ধ করেছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানান জিএম কাদের।
মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মদান জাতি আজীবন স্মরণ করবে
এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মদান এবং দেশমাতৃকার জন্য অবদান জাতি আজীবন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।
তিনি বলেন, অনেকেই এমপি-মন্ত্রী হতে পারবেন কিন্তু যারা দেশের জন্য জীবনবাজী রেখে যুদ্ধ করেননি তারা কখনোই মুক্তিযোদ্ধা হতে পারবে না। আর এজন্যই পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে অভিহিত করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্ট এবং জেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অফিস নির্মাণের ব্যবস্থা করেছেন।
রাঙ্গা বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির কাছে সম্মানীত ও পূজনীয় হয়ে থাকবেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান কারও দয়ার দান নয়, এটা তাদের অসাধারণ অর্জন।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পার্টির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক ভূইয়ার পরিচালনায় প্রতিনিধি সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আরিফুর রহমান খান, জহিরুল আলম রুবেল, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মুক্তিযোদ্ধা পার্টির নেতা অধ্যক্ষ মোঃ তফাজ্জল হোসেন, এ্যাড. রেজাউল করিম বাসেত, বিল্লাল হোসেন, হাজী আফতাব উদ্দিন, ইকবাল হোসেন তাপস, আব্দুস সালাম, এ্যাড. আজাহারুল হক, মোঃ আইয়ুব আলী খান, আদেলুর রহমান লিজু ও হান্নান বিশ্বাস।
উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, মেজর অব. রানা মোঃ সোহেল এমপি, উপদেষ্টা- মোহাম্মদ নোমান, ড. নুরুল আজহার, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, মোস্তফা আল মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আহসান শাহজাদা, জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, নির্মল দাস, মোঃ হেলাল উদ্দিন, হারুন অর রশীদ, দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, যুগ্ম দফতর এম.এ. রাজ্জাক খান, সম্পাদক হুমায়ন খান, মুক্তিযোদ্ধা নেতা গোলাম মোস্তফা, শফিউল আলম আরিফ, এ্যাড. মাহবুবুল আলম দুলাল, মফিজুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, মাইনুল আহসান, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলে এলাহী সোহাগ, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, জিয়াউর রহমান বিপুল প্রমুখ।