বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে দুই শিশু বাচ্চাকে যুক্তরাজ্য প্রেরণের কথা বলে এক নারী অপর নারীর কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা আত্বসাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় (১৫ নভেম্বর) শুক্রবার রাতে উপজেলার জানাইয়া গ্রামের আশিক আলীর স্ত্রী বাদি হয়ে প্রতারককারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১৩। মামলার অভিযুক্তরা হলেন-উপজেলার মুফতিরগাঁও গ্রামের মজম্মিল আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৩৫) তার স্বামী মজম্মিল আলী (৪৫)। মামলা দায়েরের পরপরই শুক্রবার রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার আসামি ফাতেমা বেগমকে গ্রেফতার করে। (১৬ নভেম্বর) শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।মামলার এজাহারে বাদি উল্লেখ করেন, উপজেলা সদরের একটি স্কুলে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে যাওয়া আসার পথে বাদির সঙ্গে অভিযুক্ত ফাতেমা বেগমের পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে বাদিকে অভিযুক্ত নারী জানান তার স্বামী লন্ডন প্রবাসী। তিনি (অভিযুক্ত নারী) দুটি বাচ্চাকে তাদের ছেলে-মেয়ে সনাক্ত করে লন্ডনে নিয়ে যেতে পারবেন বলে বাদিকে অবহিত করেন। এতে বাদি সরল বিশ্বাসে অভিযুক্ত নারী সঙ্গে তার এক ছেলে ও এক মেয়েকে লন্ডনে পাঠানোর রাজি হন। এবিষয়ে অভিযুক্ত নারী সঙ্গে বাদির বাড়ি বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা হয়। সেই সুবাধে বাদির সঙ্গে অভিযুক্ত নারীর পরিবারের সঙ্গে আত্বীয়ের মতো সর্ম্পক গড়ে উঠে। সেই সর্ম্পকের কারণে বাদি অভিযুক্ত নারীর সঙ্গে তার দুটি বাচ্চা লন্ডনে নেয়ার জন্য ১৬ লাখ টাকা সাবস্ত্য করেন। এরপর গত ২০ আগষ্ট অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে বাদি সাক্ষীগণের উপস্থিতিতে ৩ লাখ টাকা এবং গত ৭ অক্টোবর ১০ লাখ টাকা অভিযুক্ত নারীকে প্রদান করেন।এরপর অভিযুক্ত নারীর স্বামী মজম্মিল আলী বাদির ছেলে-মেয়েকে না নিয়ে তাদের মেয়ে দুটি নিয়ে লন্ডনে চলে যায়। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ-মিমাংসার করার চেষ্ঠা করলে তা ব্যর্থ হয়। অভিযুক্তরা প্রতারনামূলকভাবে বাদির টাকা আত্বসাৎ করেছেন বলে এজাহারে বাদি উল্লেখ করেছেন।প্রতারনা মামলা দায়ের ও এক নারী আসামি গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, গ্রেফতারকৃত নারী আসামিকে শনিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।