মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ বড়লেখায় ৭নং তালিমপুর ইউনিয়নের মুর্শিবাদকুরা গ্রামের ১৩টি পরিবারের দীর্ঘ ২ যুগ ধরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্থা বন্ধ করে রাস্তার পাশে লাগানো গাছ ও মুতরা বেত কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। বিপাকে পড়েছেন ওই পরিবারগুলোর সদস্যরা। বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে পারছেনা। বিষয়টি মিমাংসায় অসহায় পরিবারগুলোর বসবাসরত দরিদ্র জনগণ স্থানীয় ৭নং তালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় গন্যমান্য লোকজনদের স্মরণাপন্ন হলেও বিষয়টি সমাধান হচ্ছেনা। উপায়ান্তর না দেখে ভোক্তভোগী পরিবারের পক্ষে ছলিমা বেগম বাদী হয়ে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী হাকিম আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভোক্তভোগী পরিবারের বসবাসকারী মানুষজন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। মসজিদ, স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগের কারণ হয়ে দাড়িছে। ভোক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, মুর্শিবাদকুরা গ্রামের কালাম উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, মায়া বিবি, কমলা বিবি, জমিলা বেগম, আশিয়া বিবি, ছলিমা বেগম ও ছাইয়ুব আলীসহ ১৩টি পরিবারের প্রায় দীর্ঘ ২ যুগ ধরে যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ার জন্য রাস্তার পাশে লাগানো গাছ ও মুতরা বেত কেটে ফেলেন একই এলাকার আব্দুল মন্নান, মাওঃ আব্দুছ ছালাম, আব্দুল ছত্তার, ছাইফুর রহমান, আইজুর রহমান, ফয়জুর রহমান, আবুল হাসান, রুমান আহমদ ও মখনু মিয়াগংরা। কালাম উদ্দিন জানান- এই রাস্তাটি আমাদের যৌথ এবং মৌরসী সম্পত্তি। কোন রকম পূর্ব অবহিত করা ছাড়াই পেশি শক্তি আর টাকার জোরে আমাদের যাতায়াত রক্ষাকারী রাস্তাটি জবরদখল করতে ছাচ্ছেন আব্দুল মন্নানগংরা। সম্প্রতি মৌলভীবাজার সহকারী জজ আদালত এর বিজ্ঞ বিচাররক একটি আদেশ দিয়েছেন। মামলার রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর উচ্চ আদালতে আমরা আপিল করব । এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অপর প্রতিপক্ষের মাও ঃ ছালাম জানান, আমরা ক্ররিদা সুত্রে এই ভূমির মালিক। আমাদের ক্ররিদা দলিলসহ সকল কাগজ রয়েছে। মৌলভীবাজার সহকারী জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচাররক যাবতীয় কাগজাত যাচাই-বাছাই করে আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করেছেন। যা কিছু করেছি আমরা আইনকে শ্রদ্ধা জানিয়েই করেছি। সর্বশেষ প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে- বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ-মীমাৎসার চেষ্টা চলছে।