ইয়ানূর রহমান : ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে যশোর জেলার প্রায় ১ হাজার ২৮৫ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। রবিবার যশোরের বিভিন্ন উপজেলায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। তারা এসব ক্ষতির তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন বলে জানা গেছে।
আর কয়েকদিন পর আমন ধান কাটা হবে। এসময় বুলবুলের প্রভাবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে মাটির সাথে ধান শুয়ে পড়েছে।
যশোরে সকল উপজেলায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ। শার্শা উপজেলা পাঁচ ভূলাট, বেনাপোল পুটখালি, নাভারন, উলাশী, কন্যাদহ, জিরেনগাছায় ক্ষতির পরিমান বেশি। মণিরামপুর উপজেলার ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে পেপে গাছ মাটিতে পড়ে গেছে আর কিছু গাছ থেকে পেঁপে ঝরে পড়েছে। কলাগাছ ছিলো কিন্তু বুলবুলের প্রভাবে প্রায় সব গাছ মাটির সাথে মিশে গেছে। এসব কলাগাছে কয়েকদিনের মধ্যে কলার ধরণ আসতো। মসুরি চাষ করেছিলেন অনেকেই কিন্তু গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারণে মসুরির চারা হলেও তাতে ভালো ফলন আশা করা যাচ্ছে না। চারা বের হওয়ার পর কিছুদিনের মধ্যে অধিকাংশ চারা মারা যাবে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছে।
যশোর চৌগাছা যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তারের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদার বলেন, আমরা সকাল থেকে যশোর জেলার মণিরামপুর, কেশবপুর, ঝিকরগাছা ও সদরের বিভিন্ন অঞ্চলের মাঠ পরিদর্শন করেছি। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে প্রায় ৬৭৫ হেক্টর জমির ধান, ৫ হেক্টর জমিতে কলা, ৬০০ হেক্টর জমির মসুরি ৫ হেক্টর জমির পেঁপে গাছের ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কৃষকদের ক্ষতির পরিমাণ তালিকা তৈরি করে কৃষি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে তিনি জানান।