নওগাঁর আত্রাইয়ে টেন্ডার ছাড়াই হাসপাতালের অর্ধ কোটি টাকার সরকারী মালামাল বিক্রি কালে জনতার হাতে ঠিকাদার আটক

নওগাঁর আত্রাই উপজেলা হাসপাতালের গোডাউন থেকে কোন প্রকার টেন্ডার ছাড়াই অকেজো আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতিসহ প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মালামাল গোপনে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে এমন অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পরা অফিসার (টিএইচএ) ডাঃ মোঃ মোর্শেদ মনিরুদজ্জামানের বিরুদ্ধে। অনসন্ধানে জানা যায়, রোববার সরকারী ছুটির দিন সকাল ৮টার সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মালামার রাখা গোডাউন থেকে বিনা টেন্ডারে কোন কাগজ পত্র ছাড়া মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর উপজেলার জগন্নাথদে একটি পিক-আপ ভ্যান ও একটি কাকরা ট্রলিতে মালামাল উঠানোর সময় এলাকার জনতা টের পেয়ে ঠিকাদার কে মালামাল ক্রয়ের কাগজ পত্র দেথতে চান। ঠিকাদার কোন কাজগ পত্র দেখাতে না পারায় বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ছানাউল ইসলাম থানাকে অবহিত করেন । থানা পুলিশ ঘটনার স্থলে এসে ঠিকাদারকে নিলামের কাগজ পত্র দেখাতে বলেন ঠিকাদার নিলামের কাগজ পত্র দেখাতে না পারায় ঐ ২টি মালা-মাল বোঝায় পরিবহন আটক করেন এবং ঠিকাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে যায়। এলাকার সচেতন মহল বলেন, উপজেলাস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পরা অফিসার (টিএইচএ) ডাঃ মোঃ মোর্শেদ মনিরুদজ্জামান নওগাঁ সিভিল সার্জন মমিনুল হকের নাম ভাঙ্গিয়ে ( টিএইচএ) বিনা টেন্ডারে তার নিজের পছন্দ মতো ঠিকাদারকে গোপনে অকেজো আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতি প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মালামাল গোপনে বিক্রি করে সরকারী কষাগারে জমা না দিয়ে আতœসাৎ করেছেন ।
বিষয়টি স্বীকার করে নওগাঁ সিভিল সার্জন মমিনুল হকের জানিয়েছেন,সরকারী নীতি মালা অনুসারে টেন্ডারটি হয় নাই, এবং টেন্ডারের ডাকেটর টাকা ভ্যাট সহ সরকারী কোষাগারে জমা হয় নাই। শুধু টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার (টিএইচএ) ডাঃ মোঃ মোর্শেদ মনিরুদজ্জামান বলেন, নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন অফিসে টেন্ডার হয়েছে বলে নওগাঁ সিভিল সার্জন আমাকে মুঠো ফোনের মাধ্যমে জানান, টেন্ডারের কাগজ পত্র পরে পাঠানো হবে। তাই আমি মৌখিক নির্দ্দেশ মতে ঠিকাদাকে লিষ্ট অনুসারে মালামাল দিয়েছি। টেন্ডার বিষয়ে এতো টুকু আমার জানা।
এ বিষয়ে আত্রাই থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোসলেম উদ্দিন জানান, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে জানান, ঘটনার স্থলে পুলিশ পাঠানো হয় এবং মালামাল সহ ২টি যানবাহন আটক করা হয় এবং ঠিকাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে আইন গত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংবাদটি লেখা পর্যন্ত থানায় এখনও কোন মামলা হয় নাই তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে।