সিলেটের বিশ্বনাথে ফরহাদ মিয়া (২৫) নামের এক দোকান কর্মচারীকে চুরির অভিযোগে মারধর করার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ফরহাদ মিয়া নিজে বাদী হয়ে ৭জনের নাম উল্লেখ ও আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে বিশ্বনাথ থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং- ৭।মামলার অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্বনাথ উপজেলার হরিকলস গ্রামের মৃত হাজী আনিছ উল্লাহর পুত্র ও বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের পুরান বাজারস্থ শাহজালাল ভেরাইটিজ ষ্টোর এর স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুর রউফ (৫৫), তার স্ত্রী রাহিমা বেগম (৪৫), ছেলে এ কে রাজু (২২), আব্দুস সালাম (৩০), একই গ্রামের আনসার আলী (২৫), জাহারগাঁও গ্রামের জুবেল মিয়া (২৮) ও কালিগঞ্জের শানুর আলী (৩০)।বাদী ফরহাদ মিয়া মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, অভিযুক্ত আব্দুর রউফের মালিকানাধীন শাহজালাল ভেরাইটিজ ষ্টোরে তিনি বিগত ৪বছর যাবত কর্মচারী হিসেবে কর্মরত। সোমবার দুপুরে দোকানের অপর কর্মচারী রুহেল মিয়ার সাথে কাজ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। তাৎক্ষণিকভাবে বাজারের বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি আরশ আলী মেম্বার বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। তখন অভিযুক্তরা তাকে (ফরহাদ) মারধর করেন এবং একপর্যায়ে দোকান মালিক আব্দুর রউফের নির্দেশে অন্য অভিযুক্তরা জোরপূর্বক তাকে মোটরসাইকেলে তুলে হরিকলস গ্রামে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর তাকে ঘরে আটকে রেখে হাত-পা বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করেন। এতে তার শীরের বিভিন্ন স্থানে লীলা-ফুলা ও গুরুত্বর জখম হয়েছে। খবর পেয়ে বাদীর মা মনোয়ারা বেগম থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করেন। ফরহাদ মিয়া কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার বাঙ্গালপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র। তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্বপরিবারে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের পুরান বাজারস্থ মানিক মিয়ার কলোনীতে বসবাস করে আসছেন।থানায় মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য অভিযুক্তদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।