রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে টেনেহিঁচড়ে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগের আরও তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার দিবাগত গভীর রাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার তিনজন ,মহানগরীর আসাম কলোনীর শাহ আলমের ছেলে মেহেদী হাসান হিরা (২৩), রবিউল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান আশিক (২৩) এবং সাধুর মোড় এলাকার নোমানের ছেলে নাবিউল উৎস (২০)। এরা সবাই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী। সোমবার সকালে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস এদের গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। এ নিয়ে অধ্যক্ষের দায়ের করা মামলায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। জড়িত বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। প্রসঙ্গত, মিডটার্মে ফেল এবং ক্লাসে অনুপস্থিত থাকা পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভকে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে গত শনিবার অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কাযালয়ে গিয়ে চাপ দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে দুপুরে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার পর টেনেহিঁচড়ে ক্যাম্পাসের ভেতরের একটি পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়া হয়। এ নিয়ে রাতে মামলা করেন অধ্যক্ষ। এতে সাতজনের নাম উল্লেখসহ ৫০ জনকে আসামি করা হয়। পরে রাতেই পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। আর ঘটনা তদন্তে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার থেকেই তারা তদন্ত শুরু করেছেন। বিকালে তারা ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের একটি টর্চার সেলের সন্ধান পান। সোমবার সকালেও তদন্ত কমিটির সদস্যরা ক্যাম্পাসে ছিলেন। আর জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মূল ফটকের সামনে বসে আন্দোলন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বন্ধ রয়েছে সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা। এদিকে ঘটনার জন্য মূল অভিযুক্ত কামাল হোসেন সৌরভকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।