রাজধানীর বাজারে কমছেই না পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে এর দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা। আর শীতের আগাম সবজির সরবরাহ বাড়তে শুরু করায় দাম কিছুটা কমছে। ডিমের দামও কিছুটা কমেছে। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে আদা ও রসুন।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ানবাজার, হাতিরপুল, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও, শান্তিনগর, যাত্রাবাড়ির বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
গত সপ্তাহে যেসব বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা বিক্রি হয়, সেই বাজারগুলোতে এখন দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা কেজি। আর ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছেন। গত এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে তিন দফা। প্রথম দফায় কেজিতে ১০ টাকা এবং পরের দুই দফায় কেজিতে ২০ টাকা করে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা।
কয়েক মাস ধরেই সবজির দাম ছিল নাগালের বাইরে। গত বেশ কিছু দিন ধরেই স্বস্তি দিচ্ছে সবজির বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও কমেছে বিভিন্ন সবজির দাম। একইসঙ্গে কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে মুরগির দামও। ডজনপ্রতি ডিমের দাম কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত, তবে অপরিবর্তিত আছে গরু, মহিষ ও খাসির মাংসের দাম। অন্যদিকে আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে আমদানি ও দেশি পেঁয়াজ। এর সঙ্গে বাড়তি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে বিভিন্ন আদা ও রসুন।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিকেজিতে এখন শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, গাজর ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ঝিঙা-ধুন্দল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাকরোল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পেঁপে ১৫ থেকে ২০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
প্রতি পিস বাঁধাকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা, ফুলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকা, লাউ ৩০ থেকে ৪০ টাকা, জালি কুমড়া ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। সবজির সঙ্গে কমেছে শাকের দামও।
তবে বাজারে কমেছে সব ধরনের মুরগি ও ডিমের দাম। এসব বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা, লেয়ার (লাল) মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকা, লেয়ার (সাদা) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা।
অপরবর্তিত আছে গরু, মহিষ ও খাসির মাংসের দাম। বাজারে প্রতিকেজি গরু ও মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা দরে, খাসি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা দরে। আর সব ধরনের চালের দাম প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।