জাতীয় যুব দিবসের অনুষ্ঠানমালা শেষে ঈশ্বরদীর যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোরশেদ আহম্মেদের নৈতিক স্থলনের অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী নারী ঋণ গ্রহিতা। লক্ষীকুন্ডার এমপি মোড় এলাকার ওই নারী (নাম প্রকাশ করা হলো না) উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান বিশ্বাস ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খানের নিকট লম্পট ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে প্রথম ট্রেনিং গ্রহন শেষে ঋণ গ্রহনের সময় হতেই মোরশেদ বিভিন্ন সময়ে ফোনে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। এই বিষয়ে ইতোপূর্বে আরো ৪ জন ভূক্তভোগী স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ জানানোর পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। তিনি আরো জানান, এই অভিযোগ দেয়ার কারণে এবারে আমাকে ঋণের তালিকা হতে বাদ দেয়া হয়। পরে ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান সুপারিশ করলে ঋণ মঞ্জুর করেন। ট্রেনিং করতে আসা এবং ঋণ গ্রহনকারী সুন্দরী মেয়ে দেখলেই মোরশেদ নানাভাবে তাদের কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
এসময় ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান বলেন, মানিকনগর গ্রামের বিবাহিতা এক নারীসহ আরো ২ জন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নৈতিক স্থলনের অভিযোগ আমাকে জানিযেছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান বিশ্বাস অভিযোগ শোনার পর বলেন, ওই কর্মকর্তাকে আর ঈশ্বরদীতে রাখা যাবেনা। বিষয়টি যুব উন্নয়নের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
ইউএনও শিহাব রায়হান এই বিষযে বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। আগের ইউএনও কি করেছেন তা আমি জানিনা। তবে কর্মক্ষেত্রে এধরণের অভিযোগ কোনমতেই প্রশ্রয় দেয়া হবে না। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এব্যাপারে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোরশেদ আহম্মেদ বলেন, অভিযোগ সম্পূর্ণই মিথ্যা। ইতোপূর্বে আমার অফিসের কযেকেজন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অভিযোগ করেছিল। এই চক্রটি এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, এরআগেও মোরশেদ আহম্মেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল।