মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ কুলাউড়া উপজেলার লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজে সরকার ঘোষিত অনলাইন আবেদন নির্ধারিত তারিখের মধ্যে চাহিত সকল তথ্য নির্ভূলভাবে সম্পন্ন করে এবং সাবেক ও বর্তমান জাতীয় সংসদ সদস্যগণ কর্তৃক প্রদত্ত অগ্রাধিকার তালিকায় কলেজটির নাম প্রথমে থাকা সত্ত্বেও এমপিও তালিকায় লংলা কলেজ স্থান পায়নি। বর্তমানে কলেজটির ¯œাতক (পাস) ও ¯œাতক (সম্মান) পর্যায়ে বৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতাদিসহ যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করা কলেজটির পক্ষে প্রায় অসম্ভব। তাই কলেজ কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীর দাবী লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি পর্যায়ে এমপিও ভূক্তির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর পুনঃবিবেচনা করবেন। জানা গেছে- কুলাউড়ায় রবিবাজার এলাকায় ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় একমাত্র উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজ। ২০০০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিও ভূক্ত হয়। ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃক বিএসএস (পাস) কোর্স চালু হয় এবং ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ হতে বিএ (পাস) কোর্সে অধিভূক্ত হয়। এর মাত্র ৩ বছর পর ৩ টি বিষয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ হতে জাতীয় বিশ^বিদ্যাল এর অধীনে (রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা) ৪ বছর মেয়াদী ¯œাতক সম্মান কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন লাভ করে লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজ। কলেজটিতে বর্তমানে ১৭৪৫ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। কিন্তু, শিক্ষার গুণগত মান, পর্যাপ্ত শিক্ষক এবং প্রতি বছর উপজেলা তথা জেলা পর্যায়ে প্রশংসনীয় ফলাফল, জাতীয় শিক্ষা জরিপে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত এবং অবকাঠামোগত যাবতীয় সুযোগ সুবিধা থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর যাবত কলেজেটির ডিগ্রি পর্যায় এমপিও ভূক্ত হয়নি। এবিষয়ে কলেজের প্রাক্তণ ছাত্র কাজল মালাকার, তোফায়েল বেগ, ফাহমিদা সুলতানাসহ বেশ কয়েক জন বলেন লংলা কলেজে ¯œাতক পাস কোর্স চালু হওয়ার পূর্বে এই এলাকায় উচ্চ শিক্ষার হার ছিল প্রায় শূন্য। লংলা কলেজই এলাকায় শিক্ষার আলো বিস্তার করে আসছে। শিক্ষাবান্ধব সরকার লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি পর্যায় এমপিও ভূক্ত করার বিষয়ে পুনঃবিবেচনা করবেন বলে আমরা জোর দাবী জানাচ্ছি। কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য আব্দুর রশীদ বাদশা বলেন- এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের স্বার্থে আমরা আশা করেছিলাম কলেজটি এমপিও ভূক্ত হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক প্রকাশিত এমপিও তালিকায় কলেজটি না থাকায় আমরা মর্মাহত। আশাকরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করবেন। কলেজের অর্থনীতি বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ নজমুল হোসেন বলেন- আমরা খুবই আশাবাদি ছিলাম, কিন্তু মর্মাহত হয়েছি। কলেজের নন এমপিও শিক্ষকরা আশাহত হয়েছেন। এমপিও ভূক্তির সব ধরণের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কোন অজানা কারণে লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজটি এমপিও হয় নি। লংলা এলাকার একমাত্র উচ্চ শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে অগ্রধিকার ভিত্তিতে কলেজটি এমপিও ভূক্ত করার জোর দাবী জানাই। কলেজের ইতিহাস বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বলেন আমরা খুবই আশান্নিত ছিলাম ১৪ বছর পরে হলেও লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজ এমপিও ভূক্ত হবে। সরকারের সফলতায় ২৭৩০ টি প্রতিষ্ঠানের এমপিও তালিকায় লংলা কলেজ না থাকায় আমরা আশাহত এবং হতাশ হয়েছি। আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখে কলেজের যাবতীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আশাকরি কলেজটি খুব শীঘ্রই এমপিও ভূক্ত হবে।