সিলেটের বিশ্বনাথে পাওনা টাকার জের ধরে দুই পক্ষের
সংঘর্ষে অনন্ত ৩০জন আহত হয়েছেন। (২৮ অক্টোবর) সোমবার সকালে উপজেলার
খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বাওনপুর গ্রামের আমরুশ আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন ও একই
গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে গুলজার আলীর লোকজনের মধ্যে এঘটনা ঘটে। আহতরা
হলেন-গুলজার আলীর পক্ষে ওয়ারিছ আলী, গুলজার আলী, লিয়াকত আলী, মহব্বত আলী,
ইমান আলী, মৌরশ আলী, সাকিব মিয়া, নইম উদ্দিন, মনির উদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া,
গোলাম আকবর, আবদুল মছব্বির, সাজিদ মিয়া, সুমন মিয়া ও নিজাম উদ্দিন পক্ষের
আহতরা হলেন-আমরুশ আলী, রস্তুম আলী, দুলাল মিয়া, নুরুজ আলী, নুর আহমদ, বশির
আহমদ, নিজাম উদ্দিন, আমিন উদ্দিন, নুরুল হক। বাকি আহতদের নাম জানাযায়নি।
এরই মধ্যে গুরুতর আহত অনন্ত ২০জনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা
হয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
বিষয়টি
নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন বলেন, বিষয়টি
আপোষ-মিমাংসার চেষ্ঠা চলছে। সোমবার বিকেলে তিনি আহতদের দেখতে সিলেট ওসমানী
হাসপাতালে ছুটে যান বলে জানান।
জানাগেছে,
উপজেলার বাওনপুর গ্রামের গুলজার আহমদের কাছে নিজাম উদ্দিন কিছু টাকা
পাবেন। সোমবার সকালে পাওয়া টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাটি হয়। এরই এক
পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয়-অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়েন।
এতে উভয় পক্ষের অনন্ত ৩০জন আহত হন। খবর পেয়ে আশ-পাশের লোকজন এসে পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রনে আনেন। এসময় আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ
করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিষয়টি এলাকার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়
মুরব্বীরা আপোষ-মিমাংসার চেষ্টা করছেন।
সংঘর্ষের
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম
মুসা বলেন, পাওয়া টাকার জের ধরে এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। তবে খবর পেয়ে
তাৎক্ষনিক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত
রয়েছে। তবে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।