এক সেকেন্ডের জন্যও ‘আব্দুস সোবহান’ হতে চাননা রাবি কর্মকর্তা চঞ্চল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে তাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন প্রগতিশীল শিক্ষকদের একাংশ। দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গনের দাবিতে ৭ম দিনের মত মানববন্ধন কর্মস‚চি পালন করেছেন তারা।

সোমবার বেলা ১১ টা ১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এই ব্যানারে কর্মস‚চি অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন গণিত বিভাগের প্রফেসর আশাবুল হক, ভ‚-তত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর সুলতানুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের প্রফেসর সফিকুন্নবী সামাদি, আইন ও ভ‚মি প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলম সাউদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় শরীরচর্চা বিভাগের সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান চঞ্চল আইন বিভাগের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডুর মেয়ে ন‚র ন‚সরাত সুলতানা আদৌ সেকেন্ড ক্লাস পেয়েছে কিনা? উনি লিখেছেন মাস্টার্সে উনি ৬৩.৬০ পার্সেন্ট নাম্বার পেয়েও ফাস্ট-ক্লাস দাবি করেছেন।

অথচ ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সেটা সেকেন্ড-ক্লাস বলে গণ্য। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের সাথে কী লেনদেনের মাধ্যমে এই ধরনের একটা সাবজেক্টে শিক্ষকতা করতে আসলেন?

সেই সাথে এই প্যারিসরোডে কিছুদিন আগে আমরা দেখলাম লেবার লাগিয়ে ঘাস তুলে ঘাস লাগানো হয়েছে। আবার সে ঘাসের যায়গায় নতুন করে ফুটপাত তৈরি করা হচ্ছে। আমরা বলতে চাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা আপনার নিজের সম্পদ না। বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা লুটপাট করে বিশ্ববিদ্যালয় কে কলকারখানা বানাবেন সেটা আমরা হতে দেব না।

টিভিতে দেখেছিলাম উনার সাক্ষাতকারে উনি বললেন ইহজনমে নয় পরজনমেও আরেকটা আব্দুস সোবহান হয়ে দেখান। শতবর্ষ তপস্যা করেও আপনারা আব্দুস সোবহান হতে পারবেন না।

আমরা এই জায়গায় দাঁড়িয়ে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই আমরা শতবর্ষ কেন সেকেন্ডের জন্যও আব্দুস সোবহান হতে চাই না। এক সেকেন্ডের জন্যও দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, নিয়োগ-বাণিজ্যকারী, দুঃশাসক-নিপীড়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের এ আব্দুস সোবহান আমরা হতে চাই না।”

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর এম আব্দুস সোবহানের বক্তব্য শেষে জয় হিন্দ স্লোগান দেয়া ও প্রো-ভিসি প্রফেসর চোধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়ার সাথে চাকুরী প্রত্যাশীর নিয়োগ বাণিজ্যের কথপোকথনের অডিও ফাঁস হয়। এরপর গত ৩ অক্টোবর থেকে প্রশাসনের অপসারণ দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।