জুড়ীতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি দখল করে দালান নির্মান

সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশি¬স্ট কর্তৃপক্ষ, কখনও ঠিকাদার-প্রকৌশলীর যোগসাজশ, কখনও প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ, আবার কখনও দায়িত্বে অবহেলাসহ নানা কারণে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে সড়ক ও জনপথ বিভাগে। অভিযোগ উঠেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লি¬স্ট দায়িত্ব প্রাপ্তদের ম্যানেজ করেই চলে এসব অনিয়ম-দুর্ণীতির রাম রাজত্ব। জানা গেছে- জুড়ী উপজেলা শহরের ডাকঘর সড়ক সংলগ্ন জাঙ্গীরাই এলাকায় সড়ক ও জনপদের ৪৫৯৩ দাগের ১০ শতক ভ’মি অবৈধ ভাবে দখল করে দালান নির্মান করে বর্তমানে ৩য় তলায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন একই এলাকার মৃত রহমত আলীর ছেলে লকুছ মিয়া ও রমজান আলী। মার্কেট নির্মাণ করে ঘড়ে তুলেছেন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্টান। বর্তমানে সেখানে ৩ তলায় বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ পর্যায়ে। লকুছ মিয়া ও রমজান আলী তার খরিদকৃত জায়গায় (জাঙ্গীরাই মৌজার জে এল নং- ২৫, আর এস খতিয়ান নং ৮১৩, এস এ দাগ নং ৫৪৯২ ও ৫৪৯৩ দাগে ১.৬০ শতক) বিল্ডিং নির্মান না করে সড়ক ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় দালান নির্মান করছেন। এ প্রতিবেদকের সাখে আলাপকালে একাধিক লোকজন জানান- সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছেন। স¤প্রতি দুদক টিমের প্রতিবেদনে দেশ ব্যাপি দুর্ণীতির চিত্র উঠে এসেছে। ‘সওজের কাজের ক্ষেত্রে ই-টেন্ডারিং প্রক্রিয়া অনুসরণ করলেও শর্তানুসারে দেয়া স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়ন করে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রভাবশালী ও ঠিকাদারের চাপে অথবা পরস্পর যোগসাজশে এক শ্রেণীর প্রকৌশলী ও কর্মকর্তা সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। ঠিকাদার নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট পদ্ধতি দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রচলিত প্রথায় পরিণত হয়েছে। কাজ পাওয়ার জন্য অনেক সময় প্রভাবশালী ব্যক্তি, পরামর্শক সংস্থা, সরকারি কর্মকর্তাদের উৎকোচ (ঘুষ) দিতে হয়। ফলে ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজের মান বজায় রেখে প্রকল্প শেষ করা ঠিকাদারের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে নির্মাণ কাজের এস্টিমেশন ও ডিজাইন দুর্নীতির একটি উৎস। অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রাক্কলন, টেন্ডার প্রক্রিয়ার বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতি, যেমন টেন্ডারের তথ্য ফাঁস, নেগোসিয়েশনের নামে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে সাপোর্টিং বা এজেন্ট ঠিকাদার নিয়োগ, বারবার নির্মাণ কাজের ডিজাইন পরিবর্তন, নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার, টেন্ডারের শর্তানুসারে কাজ বুঝে না নেয়া ইত্যাদি দুর্নীতির উৎস। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মেরামত বা সংস্কার কাজের নামে ভুয়া বিল-ভাউচার করে অর্থ আত্মসাৎ হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রভাবশালী ব্যক্তি কর্তৃক বেনামে অথবা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনদের মাধ্যমে ঠিকাদারি কাজ পরিচালনা, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ এবং ঠিকাদার ও প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশি¬ষ্ট প্রকৌশলীর অনৈতিক সুবিধা লাভ দুর্নীতির উৎস হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে কাজের গুণগত মান এবং পরিমাণ বজায় না রাখাও দুর্নীতির অন্যতম উৎস। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপদের উপ-সহকারি প্রকৌশলী দেবাশীস সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেননি।