মধ্যনগর অফিস ;
সুনামগঞ্জ জেলার শেষ প্রান্তে হাওর পারের শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানটি অবহেলায় পড়ে আছে দেখার মত কেউ নেই ,চার যুগ আগের পুরনো গলহা
উচ্চ বিদ্যালয়টি পাকাকরণ ভবন নির্মাণ করতে সরকার কতৃপক্ষের নেই কোনো
উদ্যোগ,টিনের কাঁচা বিটের ঘরে শিক্ষার্থীদের এখনো পাঠদান দিতে হচ্ছে।
এ-যুগে এরকম অনুন্নত বিদ্যালয় দেশের কোথাও আছে বলে- চোখে পড়তে দেখা
যায়না,সরকারের কতৃপক্ষের নজরে কেনও নেয়নি এই অবহেলিত জরাজীর্ণ বিদ্যালয়টি
জনমনে রয়েছে প্রশ্নের গুঞ্জন। প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র তালুকদার ছাত্র
ছাত্রীকে পাঠদানে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে দরে সভাপতিকে অবহিত
করলে এর প্রেক্ষিতে সভাপতি সাংবাদিক এম,এ,মান্নান,সরকারের কতৃপক্ষ ও
প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীর অবগতির লক্ষ্যে, অবহেলিত বিদ্যালয়টিকে সুদৃষ্টি
আকর্ষণের আহ্বান করছেন। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের মতামত
প্রত্যাশায়,ফেসবুক কমেন্টের মাধ্যমে সু পরামর্শ মতামত দেয়ার আহ্বান
জানিয়েছেন,অত্র বিদ্যলয়ের সভাপতি সাংবাদিক এম,এ,মান্নান,তিনি বলেন, গলহা
উচ্চ বিদ্যালয়টি হাওর বেষ্ঠিত ভাটি এলাকার জনপদের শিক্ষার ক্ষেত্রে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে ,ধর্মপাশা উপজেলাধীন সুনামগঞ্জ জেলার
পশ্চিমের শেষ প্রান্তে অবস্হিত বিদ্যালয়টি ১/১/১৯৭৬/ইং সালে জুনিয়র হাই
স্কুল হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরবর্তিতে ২০১০ সালে পুর্ণাঙ্গ হাই স্কুল
হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।এলাকার কাংখিত স্বপ্ন দির্ঘ ৪৪ বছর পর ২২ শে
অক্টোবর ২০১৯/ইং তারিখে সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এম পি ও ভুক্ত
করেছেন বিদায় আনন্দের জোয়ারে ভাসছে এলাকাবাসী। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা
ছাত্র অবস্হায় যে টিনের ঘর গুলো ছিল বর্তমানেও তেমনেই জড়া জীর্ণ ঘর গুলো
দারিয়ে আছে। অথচ এই স্কুল থেকে লেখা পড়া করে অনেকেই অর্থনৈতিক ও সামাজিক
ভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ের ছাত্র
ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৬২৫ জন, কিন্তু এই বিপুল পরিমানের ছাত্র ছাত্রীর যে
সুযোগ সুবিধা থাকার দরকার ছিল তা নেই। আমি বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও
বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে সকলের কাছে আকুল আবেদন রাখছি,
প্রাক্তন সকল ছাত্র ছাত্রী প্রাচীন ঐতিয্যবাহী বিদ্যালয়টি এগিয়ে নিতে আমরা
কি পারিনা সকলের সহযোগিতার হাতে হাত রাখতে? বিদ্যালয়ের উন্নয়নে অংশনিতে?
আমি সভাপতি হিসেবে সকলের কাছে আবেদন করছি যে,গলহা উচ্চ বিদ্যালয়ের
প্রাক্তন সকল ছাত্র ছাত্রী সুচিন্তিত মতামত দিয়ে পরিকল্পিত উন্নয়ন
বাস্তবায়ন করার প্রত্যাশা রাখছি। অতএব সকলের মোবাইল নাম্বার, কর্মজীবন,
নাম, গ্রামের নাম সহ মতামত দিন