কৃষকের নাম আবু তালেব মিয়া। প্রতিবছর আগাম সিম চাষ করে তিনি। যা বিক্রি করে মৌসুমি বাজার দরের চেয়ে প্রায় চারগুণ লাভ হয় তার। গত ১০ বছর ধরে সিমসহ নানাবিধ তাল-তরকারির চাষাবাদ করে এখন তিনি স্বাবলম্বী। তার মৌসুমি ফসলের চাষাবাদ দেখে ওই গ্রামের কমপক্ষে ২০ জন কৃষক সিমসহ বিভিন্ন মৌসুমি তাল-তরকারি চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। আবু তালেব মিয়া গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ধুমাইটারী গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে। আবু তালেব মিয়া জানান, তিনি জরমনদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন তার ২ বিঘা জমিতে প্রতি বছর আগাম সিম, কফি, শশা, করলা, লাউ, কুমড়াসহ বিভিন্ন শাক সবজি চাষ করে থাকেন। সে কারণে তিনি মৌসুমি বাজার দরের চেয়ে কয়েকগুণ লাভে তাল তরকারি বিক্রি করে থাকে। বর্তমানে তিনি দেড় বিঘা জমিতে সিম চাষ করেছে। সবেমাত্র বিক্রি শুরু করেছে। প্রতি কেজি সিম ১০০ টাকা দরে বিক্রি করছে। তিনি আশা করছে ২ লাখ টাকার সিম বিক্রি করবে। তার তাল-তরকারির চাষাবাদ দেখে অনেকে চাষাবাদ শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, দিন মজুরসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম বেশি হওয়ায় লাভের পরিমাণ দিন-দিন কমে আসছে। একই গ্রামের অপর আলম মিয়া জানান, আবু তালের তাল-তরকারি চাষাবাদ দেখে আমি ২ বিঘা জমিতে গত ৩ বছর ধরে চাষাবাদ শুরু করেছি। সুন্দরগঞ্জ বাজারের কাচাঁমাল ব্যবসায়ী শামীম মিয়া জানান, আগাম জাতের কাঁচামালের দাম অনেক বেশি। বর্তমানে এক কেজি সিম ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এক মাস পরে এর দাম হবে কেজি ২০ টাকা। সে কারণে যারা আগাম সবজি চাষাবাদ করতে পারে তারা অনেক লাভবান হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সবজি চাষের জন্য উপযুক্ত জমি অনেক রয়েছে। আর সবজিতে অনেক লাভ। বার মাস সবজি চাষ করা যায়। বর্তমানে ধান, গম, ভুট্টার চেয়ে সবজি চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে।