মোঃ হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
আজ থেকে ২০ বছর আগে প্রত্যেক কৃষকের বাড়িতে ছিল গরুর হাল। যখন তখন ব্যবহার করে চাষাবাদ করত মৌসুমি ফসল। সেই গরুর হাল এখন বিলুপ্ত প্রায়। চোখে পরে না কোথাও গরুর হাল। যার কারণে সাধারণ কৃষকরা এখন অনেকটা বিপাকে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা তাল তরকারির চাষাবাদ করে থাকেন প্রতিনিয়ত। পাওয়ার টিলার ও যান্ত্রিক হাল সময়মত না পাওয়ায় এবং অল্প জমি চাষ করতে না আসায় তাল তরকারি চাষাবাদ করতে পারছে না অনেক কৃষক। সে কারণে কৃষকরা মৌসুমি ফসল চাষাবাদে আগ্রহ হারাচ্ছে অনেক। কথা হয় শান্তিরাম ইউনিয়নের কৃষক তারা মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, গরুর হাল না থাকায় আগের মত তাল তরকারি চাষাবাদ করতে পারছি না। আজ থেকে ১৫ বছর আগে তিনি খন্ড খন্ড উচু এক বিঘা জমিতে বিভিন্ন প্রকার তাল তরকারি চাষাবাদ করে বছরে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভ করত। পাওয়ার টিলার দিয়ে খন্ড খন্ড জমি চাষ কষ্টকর এবং টিলার মালিকরা জমি চাষ করতে না আসায় সময় মত তাল তরকারি আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। সে কারনে তিনি তাল তরকারি চাষাবাদ ছেড়ে দিয়েছে। গরুর হালের মালিক আব্দুল কাদের জানান গরুসহ প্রতিটি উপকরনের দাম এখন অনেক বেশি । সে কারনে গরুর হাল এখন পোশাই না। শুধু মাত্র মৌসুমি তাল তরকারি এবং বীজতলা চাষাবাদের জন্য গরুর হাল দরকার হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজ-ই মাহমুদ জানা গরুর হাল এখন বিলুপ্ত প্রায়। আধুনিকতার ছোঁয়ায় গরুর হাল খুব বেশি দেখা যায় না। তবে বীজতলা এবং তাল তরকারি জমি চাষের জন্য গরুর দরকার প্রয়োজন।