শুধু খাবারের স্বাদ বাড়াতেই নয়, ঔষধি গুণের জন্য রসুনের কদর চিরকাল। কাঁচা রসুন খাওয়া অভ্যাস করতে পারলে এড়ানো যায় অসংখ্য রোগভোগ। তবে জেনে রাখতে হবে তার সঠিক প্রয়োগ।
প্রাচীন কাল থেকে রসুনের উপকারিতা নিয়ে বিশ্বব্যাপী চর্চা। চিকিত্সাশাস্ত্রে রসুনের ব্যবহার বহু দিনের। নিয়মিত রসুন খাওয়া রপ্ত করতে পারলে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ এবং উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। হার্ট অ্যাটাক রুখতেও তার জুড়ি মেলা ভার। এমনকি সাধারণ সর্দি-কাশি, ফ্লু, ছত্রাক সংক্রমণ ও ডায়েরিয়া সারাতেও কাজে দেয় রসুন। এছাড়া অস্টিওআর্থারাইটিস, ডায়াবিটিস এবং প্রস্টেটসম্প্রসারণ রোধ করতে কাঁচা রসুন খাওয়ায় উপকারিতা মেলে। শরীরের দূষণ রুখে রোগ প্রতিরোধ প্রক্রিয়া মজবুত করতে রসুন অদ্বিতীয়। আবার কেমোথেরাপির বিষক্রিয়া থেকে রক্ষা পেতেও পেঁয়াজ-আদা-রসুনের প্রয়োগ অব্যর্থ।
রসুন কাঁচা খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। আসলে উনুনে বা আভেনে চাপালে রসুনের মূল রাসায়নিক উপাদান অ্যালিসিন-এর গুণাগুণ নষ্ট হয়। খাওয়ার আগে রসুনের কোয়া বেটে বা ফালি করে কেটে নিয়ে ১৫ মিনিট সরিয়ে রাখতে হবে। রসুনের কোয়া বাটার পর যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে তাতে, তাতে অ্যালিসিন সহজে হজম হতে সুবিধা হয়। মনে রাখতে হবে, সবচেয়ে বেশি ফল মিলবে যদি খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়া যায়।
রসুন কাজে লাগিয়ে তৈরি করা যায় বিভিন্ন রোগের টোটকা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক অব্যর্থ দাওয়াইয়ের কিছু উপকরণ প্রণালী।
১) কাঁচা রসুন ও মধু: রসুনের ২-৩টি কোয়া কুচিয়ে নিন। তার সঙ্গে এক টেবিলচামচ মধু মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন এই মিশ্রণ খেলে শরীর ফিট ও এনার্জিতে ভরপবুর থাকবে।
২) রসুনের ফ্লু টনিক: অতিরিক্ত সংবেদনশীল ত্বক হলেল এই টনিক বানানোর সময় হাতে দস্তানা পরে নিন এবং চোখে হাতের ছোঁয়া এড়িয়ে চলুন। জোগাড় করে ফেলুন অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি, ৫ কোয়া রসুন কুচি, ২টি শুকনো লঙ্কা কুচি, ১ টেবিলচামচ আদা কুচি, একটি গোটা পাতিলেবুর রস এবং অ্যাপল সাইডার ভিনিগার।
প্রথমে একটি পাত্রে পেঁয়াজ-রসুন-আদা-শুকনো লঙ্কা কুচি মেশান। আলাদা পাত্রে লেবু চিপে রস তৈরি রাখুন। এবার কুচোনো উপকরণে লেবুর রস মেশান। সব শেষে ভিনিগার ঢেলে মিশিয়ে অন্তত ১ সেন্টিমিটার ফাঁক রেখে পাত্রটি ঢেকে রাখুন। সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা ও ফ্লু সারাতে নিয়মিত ব্যবহার করুন।
– সূত্র : এই সময়