নারীরা সামাজিকভাবে অনেকটাই বৈষম্যের শিকার তাই কোন নিষ্ঠুর মা তার কন্যাশিশুটিকে জ্যান্ত কবর দিয়ে চলে যায়।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) স্থানীয় পুলিশ প্রধানের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, গ্রামবাসীরা সদ্যপ্রসূত এক মৃত শিশুকে ‘কবর’ দিতে গিয়ে ওই জীবিত শিশুটিকে খুঁজে পান।
পুলিশ জানায়, গ্রামের এক ব্যক্তি জন্মের পরপরই মারা যাওয়া নিজের সন্তানের জন্য ‘কবর’ খুড়ছিলেন। হঠাৎ একটি মাটির পাত্রে কোদালের কোপ লাগে। সেটি তুলে দেখেন, ভেতরে ফুটফুটে একটি জীবিত কন্যাশিশু। পরে, তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে।
উত্তর প্রদেশের পুলিশ প্রধান অভিনন্দন সিং সাংবাদিকদের জানান, উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে প্রায় তিন ফুট গভীর একটি গর্তে জীবন্ত পুঁতে রাখা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, মেয়ে হয়ে জন্মানোর কারণেই শিশুটিকে এভাবে মেরে ফেলতে চেয়েছে তারই বাবা-মা। তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
ভারতে লিঙ্গ বৈষম্য অত্যন্ত প্রকট। দেশটিতে নারীরা সামাজিকভাবে অনেকটাই বৈষম্যের শিকার; মেয়েদের পরিবারের বোঝা হিসেবে দেখা হয়, বিশেষ করে দরিদ্র সমাজে। পুত্র সন্তানকে প্রাধান্য দেওয়ায় প্রতিবছর ভারতে লাখ লাখ শিশু ভ্রুণ অবস্থাতেই প্রাণ হারায়। জন্মের পরপরই কন্যাশিশুকে হত্যার ঘটনাও সেখানে নতুন কিছু নয়।