নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে সুমি খাতুন (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাছিমা খাতুন (৮) নামে অপর শিশু তাকে ধরতে গিয়ে সেও পানিতে ডুবে যায়। স্বজনরা তাদেও উদ্ধার করে। তাছিমা বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে রয়েছে। নিহত সুমি খাতুন একই গ্রামের জরিপ প্রামানিকের মেয়ে এবং তাছিম খাতুন আলহাজ্ব প্রামানিকের মেয়ে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের চরকাদহ কান্দিপাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। ওই সময় সুমি খাতুন, তাছিমা খাতুন ও স্বর্না খাতুন নামে তিন শিশু প্রতিদিনের মত প্রতিবেশী ময়েজ প্রামানিকের পুকুরে গোসল করতে যায়। পুকুরে গিয়ে সুমি ও তাছিম পুকুরে নামলেও স্বর্না খাতুন পুকুর পাড়ে বসে ছিল। পুকুরে নেমে সুমি পা পিছলে গভীর পানিতে ডুবে যায়। এসময় তাছিম তাকে উদ্ধার করতে গেলে সেও গভীর পানিতে ডুবে যায়। এ অবস্থা দেখে স্বর্ণা (৭) দৌড়ে গিয়ে তার বাড়ির লোকজনকে খবর দিলে গ্রামের লোকজনসহ ওই পুকুরের পানি থেকে তাদের উদ্ধার করে গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমিকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর শিশু তাছিমা খাতুনকে মুমূর্ষু অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করেন। তাছিমা বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎধীনে রয়েছে। এঘটনায় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মাষ্টার জানান, পরিবারের অসাবধানতার কারনে এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি সকল অভিভাবকদের সচেতন থাকার পরামর্শ দেন।