মোঃ হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
জিও ব্যাগ ফেলেও তিস্তার ভাঙনে বসতবাড়ি রক্ষা হচ্ছে না। ফের শুরু হয়েছে তিস্তার তীব্র ভাঙন। গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের কেল্লাবাড়ি, উরুয়ার বাতা, লাল চামার ও সুইচ গেট এলাকায় তীব্র ভাঙনে শতাধিক বসতবাড়ি ও উঠতি ফসলসহ আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড গত ২ দিন ধরে ওই এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলছে। কিন্তু ভাঙন রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল জিও ব্যাগ কোন কাজে আসছে না।
বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর থেকে উপজেলার শ্রীপুর, হরিপুর, বেলকা, চন্ডিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে ভাঙন শুরু হয়েছে। যতই পানি কমছে ততই ভাঙন বেড়েই চলছে। বিশেষ করে শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের তীব্র আকারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। শ্রীপুর ইউনিয়নের পুঠিমারী গ্রামের রমজান আলী জানান, ৬০ বছর বয়সে তিনি ৮ বার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। চলতি বছরে তিনি ৩ বার নদী ভাঙনের স্বীকার হন। পরিবার পরিজন নিয়ে তিনি আর নদী ভাঙন মোকাবেলা করতে পারছেন না। শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যে নদী ভাঙন রোধে ১ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। শ্রীপুর ইউনিয়নে নদী ভাঙন রোধে আরও জিও ব্যাগ প্রয়োজন। নদী পাড়ের মানুষ আমি নিজে। আমি জানি নদী ভাঙনের কষ্ট এবং জ্বালা যন্ত্রণা। নদী ভাঙন রোধে সরকারের বড় পদক্ষেপ ছাড়া আমাদের পক্ষে কোন কিছু করা সম্ভব নয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী জানান, ভাঙন রোধে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে এবং আরও জিও ব্যাগের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারি প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে ১ হাজার জিও ব্যাগ শ্রীপুর ইউনিয়নে ফেলা হয়েছে। আরও জিও ব্যাগ ফেলার প্রস্তুতি চলছে।