আকাশ বগুড়াঃ সকল জলপনা কল্পনা শেষে বগুড়া সদরের গোকুল ইউনিয়নের হরিপুর মধ্যপাড়ায় অমৃত দাসের পুজা স্থাপন, সকলকে শান্তি পূর্ণভাবে পুজা উদযাপনের আহবান।
সনাতন ধর্মের সব চেয়ে বড় উৎসব সারদীয় দুর্গা পুজা। এ পুজাকে কেন্দ্র করে হরিপুর মধ্যপাড়ায় একই ধর্মের দু পক্ষের মধ্য যে বিবাদ চলে আসছিল তা সমাধান কল্পে শুক্রবার বগুড়া জেলার জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পুজা উদডাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের সিদ্ধানে সকল পক্ষ বা চঞ্চল কুমার দাস ও কিশোর কুমার দাসদেরকে স্ব স্ব জায়গায় শান্তি পুর্ণভাবে পুজা উদযাপনের জন্য আহবান জানান হয় এবং এ ব্যাপারে সকলকে সার্বিক সহযোগীতা করার আশ্বাস প্রদান করা হয়। তারই পরি প্রেক্ষিতে শুক্রবার তাদের প্রতিনিধি হিসাবে বগুড়া সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, বগুড়া জেলা পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক চাদনী বাজার পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি সাগর কুমার রায়ের নেতৃত্বে অমৃত দাসদের পুজা জন্য তৈরি করা মূতি বিবাদমান জায়গায় প্রতিস্থাপন করে দেওয়া হয়। সাগর কুমার রায় এ বিষয়টি সমাধানের জন্য দীর্ঘ দিন ধরে চেষ্টা করে আসছিলেন। তারই পরিশ্রমের ফল হিসাবে হরিপুরে পুজাকে কেন্দ্র করে যে সমস্য সৃষ্টি হয়েছিল তা সমাধান হয়।সাগর কুসার রায় জানান, তিনি মনে করেন হরিপুর সহ দেশের সকল জেলার সনাতন ধর্মের লোকজন শান্তি পূর্ণ ভাবে তাদের সকল ধর্মীয় কাজ করুক। এজন্য অমৃত দাস, কিশোর কুমার দাসের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসন সহ নেতৃবৃন্দরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বগুড়া জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান সিজু, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইফতারুল ইসলাম মামুন, আবু সাঈদ লেলিন, আরিফুল ইসলাম, সাব্বির আহম্মেদ স্বরণ,কাওছার আহম্মেদ জয়, সবুজ মিয়া, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক ও ইউপি সদস্য আলী রেজা তোতন, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সাজু, ইউপি সদস্য জাকির হোসেন, সমাজসেবক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহজাহান আলী। অপরদিকে চঞ্চল কুমার দাসদের সহ সনাতন ধর্মের অনুসারিদেরকে শান্তিপুর্ণ ভাবে পুজা উদযাপনের জন্য আহবান জানিয়ে সকল প্রকার সহযোগীতা করার এবং পুজা শেষে সকল প্রকার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।