মোঃ হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিপাকে পড়েছে খামারি ও গরু পালনকারিরা। অপরদিকে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ধানের খঁড় বা আটি। বিশেষ করে টানা বর্ষণের কারণে গরু নিয়ে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছে গরু পালনকারি ও খামারিরা। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে তিস্তা নদী প্রবাহিত। স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যায় তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের কমপক্ষে ২০ হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়ে। সে কারণে গো-খাদ্য ধানের খঁড় সম্পন্নরুপে নষ্ট হয়ে যায়। তুলনামুলক হারে চরাঞ্চলের প্রতিটি পরিবার গরু পালন করে। যার কারণে চরাঞ্চলে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী মজুদ করে রাখা গো-খাদ্য ধানের খঁড় চড়া দামে বিক্রি করছে। কথা হয় হরিপুর চরের সাধারণ কৃষক হোসেন আলীর সাথে। তিনি বলেন, তার ২টি গরু রয়েছে। ইরি বোর মৌসুমে গো-খাদ্য হিসেবে ২ হাজার টাকার খঁড় ক্রয় করে মজুদ করেছিল। বন্যার কারণে মজুদ করা খঁড় সম্পন্নরুপে নষ্ট হয়ে যায়। যার জন্য এখন তাকে চড়া দামে খঁড় ক্রয় করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, একশত ধানের আটি ৩০০ হতে ৪০০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। যা তার পক্ষে ক্রয় করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে তাকে গরু বিক্রি করতে হবে। সুন্দরগঞ্জ বাজারের খঁড় ব্যবসায়ী ফয়জার রহমান জানান, যে সব ধানের আটি এখন বিক্রি করছি তা দিনাজপুর থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে এসে মজুদ করেছি। সে কারণে চড়া দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তা ছাড়া বৃষ্টি বাদলের কারণে অনেক আটি নষ্ট হয়ে যায়। উপজেলা ভেটেনারি সার্জন ডাক্তার রেবা বেগম জানান, দীর্ঘদিন বন্যা থাকার কারণে চলতি বছর চরাঞ্চলে অনেক গো-খাদ্য নষ্ট হয়ে গেছে। সে কারণে কিছুটা চাহিদা দেখা দিয়েছে।