ঈশ্বরদী সংবাদদাতা ॥ রেলওয়ে পাকশী বিভাগের ঈশ্বরদী ও পাকশী এলাকার প্রায় দু’হাজার পাকা বাসা বাড়ি ব্যবসা কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। নিয়মমতে,বাসা বাড়ি গুলোতে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বরাদ্দ নিয়ে বসবাস করার কথা। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে সেটি হয়না। কারও কারও সরকারী বাসায় থাকার বিধান থাকলেও তারা থাকেন না। নিয়ম উপেক্ষা করে বাইরে বাসাভাড়া করে থাকেন । এ ছাড়া যেটি হয়ে আসছে, সেটি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সম্পূণর্ নিয়ম ও আইন বহির্ভূত। কোথাও কোথাও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নামে বাসাবাড়ি বরাদ্দ নিয়ে নিজেরা বসবাস না করে বহিরাগতদের নিকট ভাড়া দিয়ে এবং বিক্রি করে অর্থ আয় করা হচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নিকট থেকে বহিরাগতরা ভাড়া নিয়ে অন্যদের কাছে ভাড়া দিয়ে তারাও অর্থ আয় করছেন। মজার বিষয় হলো ঐসব বাসাবাড়ির মধ্যে অনেক বাসা বাড়ির মেরামত কাজও করতে হচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে বছরে মোটা অংকের অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। এসব কারণে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। শুধু কি তাই ? অবৈধভাবে ভাড়া নেওয়া ভাড়াটিয়াদের অনেকেই তাদের বাসা বাড়ির সামনে বিভিন্ন রকমের ঘর করে ভাড়া দিয়ে অবৈধভাবে অর্থ আয় করছেন। এতেও রেলওয়ের কোন লাভ হচ্ছে না । বরং রেলওয়ের সুনাম,পরিবেশ ও আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারিরা পরিকল্পিত ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেরা ফায়দা লুটে রেলওয়েকে ক্ষতিগ্রস্থ করছেন। অসাধু কর্মকর্তারা এখানেই থেমে নেই। রেলওয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সাথে নির্দিষ্ট হারে চুক্তি করে সকল অবৈধ বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়েছে। অবৈধ বাসা বাড়ির ভাড়াটিয়ারা আবার অন্যদের বাসায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এ ছাড়াও কেউ কেউ অটো রিক্সার ব্রাটারী বিদ্যুৎ লাইনে চার্জ দিয়ে ব্যবসা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। এসব কারণে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকার লোকসান গুণলেও ব্যবসায়ী চাকরীজীবি বলে পরিচিতি অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারিরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছেন। কোন কোন বাসা বাড়িতে ইয়াবা,ফেন্সিডিল ও অসামাজিক কাজসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকের ব্যবসা চালানো হচ্ছে। এমনকি কতিপয় চিহ্নিত বাসা বাড়িতে বহিরাগত দাগি আসামি,সন্ত্রাসী ও কুখ্যাত অপরাধীরা নিরাপদে লুকিয়ে থেকে ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকায় নানা প্রকার অপরাধের সাথে যুক্ত হচেছ। সুনাম ফিরিয়ে আনতে ও আর্থিক লোকসানের হাত থেকে রেলওয়েকে রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।