মোঃ নূরুল ইসলাম, চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি ঃ
পাবনার চাটমোহর হান্ডিয়াল বাঘলবাড়ি কৈ-দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আবদুল কুদ্দুস নামের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বাঘলবাড়ি-কৈ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর উপযুক্ত বিচার চেয়ে মঙ্গলবার স্থানীয়রা বাঘলবাড়ি-কৈ বহুমুখী দাখিল মাদ্রসার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে এবং উত্তেজনা তৈরি হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। অভিযুক্ত শিক্ষক একই ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের মৃত মছির ফকিরের ছেলে।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, গত রোববার ফুলের গাছ নেওয়ার বাহানা করে বৃ-রায়নগর গ্রামে ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান আবদুল কুদ্দুস। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। পরে ওই ছাত্রী আবদুল কুদ্দুসকে ঘরে বসতে দিয়ে নাস্তা খেতে দেয়। নান্তা খাওয়ার সময় অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয় বলে অভিযোগ। পরে সে (ছাত্রী) বিষয়টি তার পরিবারকে জানায় এবং সোমবার মাদ্রাসা সুপার আবদুস সামাদ আজাদী এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মৌখিক
অভিযোগ দেয়। কিন্তু অভিযুক্ত ওই শিক্ষক মাদ্রাসা সুপারের নিকট আত্মীয় (সমন্ধি) হওয়ায় বিষয়টি ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন এবং কাউকে না জানিয়ে মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসায় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে ঘরোয়াভাবে বিষয়টি আপোষ মীমাংসা করার চেষ্টা করেন।
এ ঘটনার ব্যাপারে মাদ্রসা সুপার আবদুস সামাদ আজাদী বলেন, ওই ছাত্রীর অভিযোগ পাওয়ার পর ম্যানেজিং কমিটির সাথে আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসার সামনে এলাকাবাসীরা জড়ো হলে পুলিশকে খবর দেই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মগরেব আলী বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চাটমোহর থানার ওসি সেখ নাসীর উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অভিযোগ গ্রহণের জন্য ওই ছাত্রীর বাবা-মাকে থানায় ডেকে আনা হয়েছে। অভিযোগ পেল ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।