রওশন আরা শিলা, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ- নওগাঁর আহসানগঞ্জ ষ্টেশনের আশ পাশে রেলওয়ের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদারেরা। এসব স্থাপনা উচ্ছেদে বারবার অভিযান চালানো হয়।তবে
তা স্থায়ী হয় না। দখলদারেরা প্রভাবশালী হওয়ায় রেলওয়ের জমি উদ্ধার হচ্ছে না।
এলাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আহসানগঞ্জ ষ্টেশানের ও আশপাশের রেলের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব দোকান পাটে মাদকসহ নেশা জাতীয় নানা দ্রব্য পাওয়া যায়। দোকান গুলোতে মাদকসেবীসহ অপরাধীদের আড়্ড়া বসে। এবিষয়ে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এ ছাড়া ট্রেন থেকে নেমে ষ্টেশন ছাড়ার সময় নানা ঝামেলায় পড়ে যাত্রীরা। ষ্টেশনের প্লাটফর্মের ভেতর গড়ে ওঠা দোকানপাট ও হকারদের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। অনেক সময় যাত্রীরা ছিনতাইকারী ও পকেটমারদের কবলে পড়ে।
এ ছাড়া ষ্টেশনের দর্ক্ষিণ পাশের্^ প্রবেশ পথেই প্রথম শ্রেণী বিশ্রামাগার সংলগ্ন ও পশ্চিমপাশের্^ রেললাইনের রেলের জায়গায় বসছে ফলের বাজার। রেলওয়ে পশ্চিম জোন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার এ বাজার ও প্লাটফর্মে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা দোকান-পাট উঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে দখলদারেরা ফিরে এসে আবার দোকান বসায়। আহসানগঞ্জ রেলওয়ে উত্তর -দক্ষিণ রেল ক্রসিং ও রেল লাইনের দুই পাশে দীর্ঘ দিন ধরে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল রেলওয়ের জমি দখল নিয়ে পাকা-আধা পাকা দোকানঘর বানিয়ে ব্যবসা করে আসছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এসব,স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও সরকারদলীয় স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় রাতারাতি তা আগের মতোই দখল হয়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আহসানগঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশন এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, ষ্টেশনটিতে এলাকার রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা-কর্মীরা দোকান বসিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। এ কারণে কেউ কিছু বলতে পারছে না।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে পশ্চিম রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উদ্যেগে ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় এসব স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। কিছুদিন পর সে গুলো পশ্চিম রেলওয়ে কিছু অসাধূ কর্মকর্তা –কর্মচারীদের সহযোগিতায় আগের অবস্থায় ফিরে আসে। দখলদারেরা বিভিন্ জনের কাছ থেকে জামানত নিয়ে এসব দোকানপাট ভাড়া দিয়েছে।
আহসানগঞ্জ ষ্টেশন মাষ্টার সাইফুল ইসলাম বলেন, ষ্টেশন প্লাটফর্মের ভিতরে ও রেল লাইনের দুই পাশের্^ অবৈধ দোকানপাটের জন্য যাত্রীদের চলাচলের দূর্ভোগ পোহাতে হয়। এসব নিয়ে কথা বলা বিপদজনক।
আত্রাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মসলেম উদ্দিন বলেন, রেলওয়ের জমি দেখা শোনার দায়িত্ব রেলওয়ের সম্পত্তি বিভাগের। আমরা শুধু আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি দেখে থাকি।