পরীমনি দেখতে পরীর মতোই। অনিন্দ্য সুন্দরী জনপ্রিয় এই নায়িকাকে ঘিরে রয়েছে নানা বিতর্ক। বিশেষ করে তার বিয়ে নিয়ে রয়েছে ভক্ত ও মিডিয়াপাড়াতে নানা গুঞ্জন। সম্প্রতি সে ঝড় থামিয়ে বেছে বেছে কাজ করছেন। কেউ কেউ তো বলছেন তিনি নাকি এখন জীবনদর্শনও পাল্টে ফেলেছেন।
প্রায়ই শোনা যায়, সাংবাদিকদের ফোন ধরেন না, এটা কেন?
আমার ফোন অফ থাকে মাসের অর্ধেকের বেশি সময়! ফোনে কথা বলতে কেমন জানি ক্লান্ত লাগে। হা. হা.. হা… কানে ফোন ধরে রাখাটা অস্থির লাগে আমার কাছে। এক মিনিট পার হলেই আর ভালো লাগে না। প্রায়ই লাউডস্পিকারে রেখে কথা বলি। ইদানীং তো নানুই ঠিকঠাক ফোনে পায় না আমাকে। নানুকে একটু অস্থির করতে মাঝে মধ্যে মজাই লাগে। সাংবাদিকদের ফোন ধরি না এটা আসলে ঠিক কথা নয়। এই যে আপনার সঙ্গে কথা বলছি! অবশ্য এটা ঠিক যে এখন আর হুটহাট ফোনে সবার প্রশ্নের উত্তর দেই না। আসলে কথাবার্তা সরাসরি হওয়াটাই স্বস্তিদায়ক। এতে ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কা কম থাকে।
বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?
জিরো ফিগারের একটা চ্যালেঞ্জ চলছে। সময় খুবই কম। সাঁতার, ইয়োগা ও ডায়েট চার্ট ঠিকঠাক শেষ করতেই সময় যাচ্ছে। গান শোনা, সিনেমা দেখা তো আছে। আর সুযোগ পেলে রাত জাগাটা কিন্তু বেশ ভালো লাগে আমার কাছে। শিগগিরই ‘বিশ্বসুন্দরী’র ডাবিংয়ে যোগ দেব। দারুণ কিছু গল্পের পান্ডুলিপি হাতে রয়েছে। ডাবিং শেষে এগুলো নিয়ে বসব।
বড় পর্দা এবং ওয়েব সিরিজ- মিল এবং অমিল বা স্বাচ্ছন্দ্য কোনটায়?
সিনেমা তো সিনেমাই। আর কাজ তো সবসময়ই কাজ। আমার কাছে ঠিকঠাক কাজের গুরুত্বটা বেশি।
ফেসবুকে ইদানীং উষ্ণ ও আবেদনময়ী ছবি দিচ্ছেন, এর রহস্য কী?
কী জানি, আপনাদের কাছে কোনটা উষ্ণ আর কোনটা যে আবেদনময়ী- এটা নিয়েই আমি দ্বিধান্বিত।
হা. হা.. হা… যাই হোক, আমার ছবি সবার কাছে যেমনই লাগুক লাগতে থাকুক।
আবারও কী প্রেমের নোঙরে নাও ভেড়াবেন?
আবারও বলতে কিছু নেই। প্রেম আসবে, বারবারই আসবে। এটাই প্রেমের ধরন। আর আমি, আমরা প্রেমে পড়বই। এটাই আমাদের ধরন!
সবার মুখে একটাই কথা, ফিল্মপাড়ায় সংকট। উত্তরণের কোনো আইডিয়া বা পরামর্শ আছে কি?
ওহ, দয়া করে সব হল বন্ধ হয়ে যাক যত তাড়াতাড়ি সম্ভব! আমি তো এ প্রত্যাশা করি সবসময়। আমাদের সবকিছু এত উন্নত-আধুনিক শুধু এই হলগুলো ছাড়া! কেউ জানতেই পারে না টিকিট বিক্রির সঠিক তথ্য! আমার তো এটাও মনে হয় যে হল মালিকও ঠিকঠাক তথ্য জানতে পারে না কখনো কখনো। একজন প্রযোজক তো সেখানে দূরেই থাকলেন (অবশ্য সেটা সব প্রযোজক নন)। সব হল বন্ধ হয়ে নতুন করে শুরু হোক। এটা সবার একান্ত কড়া নজরদারিতে ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় সম্ভব আমার মনে হয়।
নিজের প্রোডাকশন হাউস ‘সোনার তরী’ আলোর মুখ দেখবে কবে?
ধরুন, জনপ্রিয় খেলা হা ডু ডু। এতে কেউ একজন এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে আর ১০ জন মিলে ঠ্যাং (পা) টেনে ধরবে। অবশ্য পায়ে জোর থাকাটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে মানুষ চেনা যায়। আমি তো আমার আশপাশের মানুষের ওপর ভরসা করে ছেড়ে দিয়েছিলাম ‘সোনার তরী’। কিন্তু তারা অনেকেই সেটার অযোগ্য ছিল। আমি শক্ত নাবিকদের নিয়েই বাইতে চাই এ তরী। আমার জন্য সবার দোয়া, সবারই সমর্থন অব্যাহত থাকবে আশা করি। আশা করি দুই মাসের মধ্যে দারুণ খবর দিতে পারব। সে পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকুন।