নওগাঁ প্রতিনিধিঃ- নওগাঁর আত্রাই সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে জাল দলিল তৈরির অভিযোগ উঠেছে। তবে শ্রেণী পরিবর্তন করায় লাভবান হচ্ছেন সাব-রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কতিপয় নকল নবীসরা। বালাম বহিতে দলিলের শ্রেণী পরিবর্তন করে দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ করে আসছেন তারা। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নাটোর জেলার খাজুরা গ্রামের ১। মোঃ হাসেম আলী প্রাং ২।্ মোঃ হুসেন আলী প্রাং উভয়ের পিতা –মৃত সুবন প্রাং সর্ব সাং খাজুরা পোঃ জনার্দ্দন বাটী থানা নাটোর জেলা নাটোর। গ্রহীতা মোছাঃ-সুরজান বিবি জং মোঃ- কালাম ফকির সাং খাজুরা পোঃ-জনার্দ্দনবাটী থানা নাটোর, জেলা নাটোর দলিল নং ২৯৬৪, শ্রেণী ধানী জমির পরিমান ০৪শতক, বালাম বহি নং ৪৮ পাতা নং ১০২-১০৪ । ১৯৭৯ সালের মে মাসের ২১ তারিখে আত্রাই সাবরেজিষ্ট্রার অফিসে দলিলটি সম্পাদন হয়েছে। দলিল সম্পাদনের কিছু দিন পর গ্রহীতা সুরজান বিবি ও স্বামী কালাম ফকির মৃত্যু বরণ করেন। রেখে জান একমাত্র পুত্র সন্তান সুলতান আলী। এর পর সুলতান আলী তার স্ত্রী মেহেরুননেছা ও একমাত্র কন্যা সন্তান বিউটি বেগম লোটন) কে রেখে মৃত্যু বরণ করেণ। এ সুযোগ নিয়ে উক্ত ওয়ারীশ বিউটি বেগম কৌশলে আত্রাই সাবরেজিষ্ট্রার অফিসের অসাধু নকল –নবিশ মাহাতাব উদ্দিন অন্যআন্য লোকজনের সহায়তায় ধানীর পরিবর্তে ভিটা উল্লেখ করে বেশ কিছুদিন নিশ্চুপ থাকার পর হঠাৎ উক্ত জমি দখল করতে আসে। এতে করে দাতা গনের সহিত গ্রহীতার ওয়ারীশ বিউটি বেগম এর মধ্যে বিবাদ বাধেঁ । ফলে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ বাঁধতে পারে বলে এলাকাবাসী মনে করছে।
এ ব্যাপারে আত্রাইয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত সাব-রেজিষ্ট্রার জবা মন্ডল বলেন,জমির শ্রেণী পরিবর্তনের বিষয়টি সঠিক নয়। তবে ওই দলিলের বালাম বইয়ের পৃষ্ঠার অংশ কর্তনে কিছু রদবদল করায় সংশ্লিষ্ট কর্মচারী (নকলনবিশ) মাহাতাব উদ্দিনকে শোকজ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।