রাজশাহীতে হাটের সরকারী জায়গা কেনা বেচায় প্রশাসনের তালা

নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীতে হাটের সরকারী জায়গা দখল করে অবৈধ ভাবে কেনাবেচা করায় প্রশাসন ঘরটিতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ তালা মারার ঘটনা ঘটে বলে একাধিক ব্যবসায়ীরা নিশ্চিত করেছেন। অপর দিকে ওই ঘরটি কেনাবেচায় স্থানীয় কতিপয় ক্ষমতাসীন দলের কিছু ব্যক্তিরা জড়িত আছেন বলেও প্রচার রয়েছে। এলাকাবাসি সুত্রে জানাগেছে রাজশাহী জেলার গোল্লাপাড়া হাটের মুচি পট্টিতে চায়ের দোকান করতেন তপন নামের এক সংখ্যালঘু। তিনি গত শুক্রবার বাজারের মেসার্স নাহিদা ফার্মেসীর নিকট প্রায় ৫ লাখ টাকা দিয়ে স্ট্যাম্পে ঘরের পজিশন বিক্রি করেন। নাহিদা ফার্মেসীর প্রোপাইটার ফরমান আলীর কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি পজিশন ক্রয় করিনি করেছে মুজাহিদ নামের এক ব্যক্তি। তাহলে দোকানে আপনার সাইন বোর্ড কেন জানতে চাইলে এড়িয়ে গিয়ে কোন কিছু বলতে চান নি। এদিকে গত রবিবার সকালের দিকে গিয়ে দেখা যায় চায়ের দোকানের মালামাল তুলে নাহিদা ফার্মেসীর সাইনবোর্ড দোকানের উপরে সাটানো হয়েছে এবং ভিতরে ঔষুধ রাখার গ্যালারি রাখা হয়েছে। দোকানে কয়েকজন মিস্ত্রি এসব কাজ করছিল। এসময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি জানালে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে কেনা বেচার সত্যতা পেয়ে দোকান ঘরে তালা মেরে দেন এবং সরকারী জায়গা অবৈধভাবে কেনাবেচা ব্যাপারে সতর্কতা করে দেন। নাম প্রকাশ না করে হাটের এক ইজারাদার জানান প্রায় ৫ লাখ টাকায় বিক্রি হলেও চা দোকানী তপন ৪ লাখের মত নিতে পেরেছেন। বাকি টাকা গেছে বাজারের কিছু ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীদের পকেটে। তিনি আরো জানান শুধু এঘর না বাজারে এমন অনেক পজিশন অবৈধভাবে দখল ও বিক্রি করে লাখ লাখ টাকার বানিজ্য করা হয়েছে যা সরেজমিন তদন্ত করলেই বেরিয়ে পড়বে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন বানু জানান সরকারী হাটের জায়গা চা দোকানী অবৈধ ভাবে বিক্রি করেছেন যার কারনে ওই ঘরে তালা মারা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে যারা এর সাথে জড়িত তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। এরপর থেকে যারাই এমন কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য,রাজশাহীর পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের হাট-বাজার গুলো মেয়র-চেয়ারম্যানের সহতায় ইজারদার ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের দখলে রয়েছে। তারা ইচ্ছামত খাস সম্পত্তি জবর দখল করে পজিশন বিক্রি করে কোটি কোটি হাতিয়ে নিতছেন।