তাড়া‌শে ৭ দিন ধরে বাঁশের বেড়ায় অবরুদ্ধ ৩ পরিবার ইউএন’র কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে সমাধান পায়নি

সোহেল রানা সোহাগঃ
সিরাজগ‌ঞ্জের তাড়া‌শে বসতবাড়ির প্রবেশ পথে বাঁশের বেড়া দিয়ে ইউ‌পি সদস্য সহ তিন পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ইউএন’র কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনো কোন সমাধান পায়নি ভুক্তভোগী ওই পরিবার গুলো। এতে ৭ দিন ধরে অবরুদ্ধ অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন উপজেলার নওগাঁ ইউ‌নিয়নের দেবীপুর গ্রা‌মের চরপাড়ার স‌দের আলীর ছে‌লে ইউ‌পি সদস্য আব্দুল খা‌লেকসহ তার দুই ভাই ই‌দ্রিস আলী, আবু বক্করের ৩ টি পরিবারের ১৭ জন সদস্য। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশ হলেও এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।

জানা গেছে, গত শনিবার (২৪ আগস্ট) থেকে উপজেলার দেবীপুর গ্রা‌মের চরপাড়ায় বসতবাড়ির প্রবেশ পথে বাঁশের বেড়া ও কাটা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে ইউপি সদস্য আব্দুল খা‌লেকসহ তিনটি পরিবারকে। খোঁজ খবর  নিয়ে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উভয় পক্ষের মাঝে বাড়ির জায়গা নিয়ে দন্দ চলছে। এমন কি জায়গাটি নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে। তবে প্রভাব দেখিয়ে গ্রামের প্রধান বা কাউকে কিছু না জানিয়ে ঘরের প্রবেশ পথে কাটা ও বাঁশের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে তিনটি পরিবারকে।

অবরুদ্ধ পরিবারের সদস্য ইউপি সদস্য আব্দুল খা‌লেক অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ৩ টি পরিবারের  প্রবেশ পথে বাঁশবেড়া দিয়ে রেখেছে  আফজাল হোসেনের স্ত্রী ময়না ও তার সন্তানরা । আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে  বিষয়টি সমাধান চেয়ে গত রবিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। এখনো কোন সমাধান পাইনি। পরিবারের কাউকে ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছে না । বাচ্চারা স্কুলেও যেতে পারছে না ।  
বাঁশের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধের কারণ জানতে চাইলে আফজাল হোসেনের স্ত্রী ময়না ও তার সন্তান মকুল হোসেন বলেন, আমার জায়গায় আমি বেড়া দিয়েছি। যা লেখার লেখেন। আমাদের অনেক বড় নেতা আছে।  কিছুই করতে পারবেন না। তবে নওগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু বলেন, তিনটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখা অমানবিক ও বেআইনি। ইউএনও স্যার কে বিষয়টি জানিয়েছি।

এ প্রস‌ঙ্গে উপ‌জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ওবায়দুল্লাহ বলেন, অ‌ভি‌যোগটি পেয়েছি। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে আইন‌গত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওসি সাহেব কে বলেছি। এ ব্যাপারে তাড়াশ থানার ওসি মুস্তাফিজুর রহমান বলেন,  আমি ঘঁনাস্থলে এখনি পুলিশ পাঠাচ্ছি।