মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ সব আইনেই আছে ফাঁকফোকর৷ এ কারণে প্রকৃত অপরাধীদের পার পেয়ে যাওয়ার নজিরও অনেক৷ অপরদিকে আইনের এই ফাঁকফোকরের কারণে নীরিহ মানুষও অহরহ হয়রানির শিকার হচ্ছেন৷ আবার অস্ত্র এবং মাদক আইনের মামলায় অপরাধ প্রমাণ করতে হলে কোনো ব্যক্তির দখলে ওই অস্ত্র বা মাদক পাওয়া জরুরি৷ কেউ ওই অপরাধে জড়িত হওয়ার পরও তাদের কাছে বা দখলে না পাওয়া গেলে তারা আইনে সুবিধা পান এবং অপরাধ প্রমাণ করা কঠিন হয়৷ আবার আইনের বিধানের কারণেই কারুর পকেটে অস্ত্র বা মাদক দিয়ে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে দেয়া যায়৷ এই অনুভূতির কোনো ব্যাখ্যা না থাকায় এই আইন দিয়ে হয়রানি ও মিথ্যা মামলা দেয়া যায়। সম্পতি ভূমি সংক্রান্ত বিরুধের জের ধরে একাটুনা ইউনিয়নের কুইসার গ্রামে একটি শিশু ধর্ষণের ঘঠনাকে কেন্দ্র করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আজিজুর রহমান এর স্ত্রী লীলা বেগম বাদী হয়ে পার্শ্ববর্তী ঘরের বাসিন্দা ছুফু মিয়ার পুত্র মসুদ মিয়া (১৮)কে আসামী করে ধর্ষণ মামলা (নং- ১০, তারিখ ঃ- ০৭/০৭/২০১৯ইং) দায়ের করেন। এ মামলায় দীর্ঘদিন ধরে আসামী মসুদ মিয়া জেল হাজতে রয়েছে। এ ব্যপারে জানতে চাইলে মামলার বাদী লীলা বেগম বলেন- একটি অবুঝ শিশুকে যে নির্মম ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। আমি তার সঠিক বিছার চাই। অপরদিকে, ধর্ষণ মামলার আসামীর পিতা মসুদ মিয়াসহ একাধিক লোকজন জানান- আজিজুর রহমানগংদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ ভূমি নিয়ে বিরুদ চলছে। প্রতিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে শিশু ধর্ষণের ঘঠনা সাঁজানো হয়েছে।