নাটোর প্রতিনিধি
স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকীতে রক্তদান, ঋণ বিতরণ ও বিশেষ মুনাজাতের মাধ্যমে স্মরণ করা হয়েছে। জেলায় জাতীয় শোক দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও অনুদানের চেক বিতরন এবং স্বাস্থ্য বিভাগ বিশেষ স্বাস্থ্য সেবা প্রদান ও রক্তদান কর্মসূচীর আয়োজন করে। সমাজ সেবা অধিদপ্তর ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মুনাজাতের আয়োজন করা হয়। জাতীয় শোক দিবসে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করা হয়। সকালে জেলা প্রমাসকের কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে বের হওয়া শোক শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও মহান কীর্তি বিষয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে এই জাতি বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে পারে, আমাদের স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে পারে। এই লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে সৎ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি, নাটোর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান, নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জালাল উদ্দিন প্রমুখ। শেষে ১৭৬ জন যুবকের মাঝে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ৭৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকার যুব ঋণ বিতরণ করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে সকাল নয়টা থেকে শুরু হয়ে নাটোর সদর হাসপাতালে সারাদিন ব্যাপী চলবে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও বিশেষ স্বাস্থ্য সেবা প্রদান কার্যক্রম। একই দিনে জেলার সকল মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মুনাজাত, সমাজ সেবা কার্যালয় ও সরকারী শিশু পরিবারে কোরআন তেলাওয়াত, আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। মন্দির ও গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেলা তথ্য অফিস সন্ধ্যায় নাটোর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে বঙ্গবন্ধু সংশ্লিষ্ট প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করবে। মাসব্যাপী অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ২০ আগস্ট ইসলামিক ফাউন্ডেশন আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল, হামদ-নাত,গজল, ক্কিরাত ও হিফজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে জেলা কার্যালয়ে। একই দিনে সরকারী গণগ্রন্থাগার নিজস্ব মিলনায়তনে কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। ২১ আগস্ট জেলা শিল্পকলা একাডেমী তাদের মিলনায়তনে চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। ২২ আগস্ট সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমী পুস্তক প্রদর্শনী, রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করবে জাতীয় মহিলা সংস্থা ২৫ আগস্ট সংস্থার কার্যালয়ে।