নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরে ঈদের তৃতীয় দিনেও বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বিনোদন পিপাসু মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে ঠাসা রয়েছে। এই মৌসুমে নাটোরের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বিনোদন পিয়াসী মানুষ এমনিতে ভীড় জমাতে শুরু করে, এর সাথে যোগ হয়েছে ঈদ। ঈদুল আজহার ছুটিতে দুর-দুরান্ত থেকে আসা বিভিন্ন বয়সী হাজার হাজার মানুষ নির্মল প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের টানে ছুটে আসছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫আগস্ট) সকাল হতে নানারকম যানবাহনে নাটোরের উত্তরা গণভবন, রাণীভবানীর রাজপ্রাসাদ, মিনি কক্সবাজার খ্যাত পাটুল, সিংড়ার-বারুহাস সাবমারসিবল সড়কসহ পর্যটন স্পটগুলো আবাল-বৃদ্ধ-বনিতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর পর্যটন কেন্দ্রের পাশাপাশি বিনোদন পার্কও এখন মুখরিত।
এর মধ্যে নাটোর শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দুরত্বের মিনি কক্সবাজার খ্যাত পাটুলের হালতি খোলাবাড়িয়া বিল বর্ষা মৌসুমে সমুদ্রের রুপ ধারণ করে। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ে তীরে। এ সময় বিলের ভিতরের গ্রামগুলো দেখতে দ্বীপের মতো মনে হয়। ডুবন্ত সড়কে হেঁটে বেড়ানোসহ বিলের পানিতে সাঁতার কাটা ও নৌকা ভ্রমণ করে সময় কাটাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। তারা কক্সবাজারের আমেজ উপভোগ করছেন। আকাশে মেঘ আছে এবং বিলের পানি ও উত্তাল রয়েছে, সে কারণে একজনও যেন লাইফ জ্যাকেট ছাড়া নৌকা ভ্রমণে বের হতে না পারে, তার জন্য এবারে নৌকা ভ্রমণে জেলা প্রশাসন থেকে সর্তকতা জারি করা হয়েছে ।
হালতি বিলে আগত সহস্র মানুষের ভ্রমণ সুন্দর করতে ইতোমধ্যেই এখানে পুরুষদের জন্য দুটি ও মহিলাদের জন্য দুটি টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে বিল অঞ্চলে পর্যটন কেন্দ্র যাওয়ার রাস্তা খুবই সরু খানা-খন্দকে পরিপূর্ণ হওয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন পর্যটকরা। এছাড়া বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার অভাবসহ যাত্রী ছাউনির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে দর্শনার্থীদের।
এব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহরিয়াজ বলেন, হালতি বিলের পাটুল ঘাট এলাকাকে পর্যটন সুবিধার আওতায় আনতে বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এবার দর্শনার্থীর নিরাপত্তায় লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ করা হয়েছে। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।