ঈদ জামাতে অঝোরে কাঁদলেন শামীম ওসমান

ঈদ জামাত পূর্ব মুসল্লিদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে অঝোরে কেঁদেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান। এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে স্বজনদের জন্য দোয়া চেয়েছেন তিনি।

শামীম ওসমান বলেন, আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এখানে অনেকের মা নেই, বাবা নেই। আমি আপনাদের কাছে আমার মা-বাবা ও ভাই-বোনের জন্য দোয়া ভিক্ষা চাই। আমিও আপনাদের প্রিয়জনদের জন্য দোয়া করছি।

সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল ৮টায় নারায়ণগঞ্জের ইসদাইরে শামসুজ্জোহা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ঈদ জামাত পূর্ব আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

ঈদ জামাত পূর্ব মুসল্লিদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে শামীম ওসমান বলেন, আপনারা দয়া করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তাকে (প্রধানমন্ত্রী) অনেক হায়াত দেন। তিনি যেন আরও সেবা করার সুযোগ পান।

তিনি আরও বলেন, আমার খুব ভয় লাগে বিশ্বাস করেন। আমি আগামীকাল বাঁচব কিনা জানি না। আমার ভয় হয় আগামীকাল আমি না থাকলে এই জামাত যদি বন্ধ হয়ে যায়। সেজন্য বলেছিলাম, আমরা এত টাকা খরচ করি অথচ আমরা বছরে দুইটা ঈদ জামাত করতে পারব না? কয় টাকা লাগে এই জামাত করতে? হয়তো দেড়-দুই কোটি টাকা লাগে।

শামীম ওসমান বলেন, পুরাতন জেলা প্রশাসকের বিদায় এবং নতুন জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণের দিন অনুরোধ করলাম, এই জামাতের জন্য আপনারা একটা বরাদ্দ রাখেন। যাতে প্রতিবার এর থেকেও আরও বৃহৎ জামাত করতে পারি। কিন্তু কষ্টের সঙ্গে বলতে হয় সেখান থেকে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। আল্লাহর পথে কাজ করেন। তা না করলে অহমিকা করে লাভ হবে না। কারণ আমরা চিরস্থায়ী না।

তিনি বলেন, ঈদগাহের পাশে কবরস্থানের মসজিদের জামাত ছিল ৮টায় কিন্তু সেটা সাড়ে ৭টায় করে দেয়া হয়েছে। এটা নিয়েও রাজনীতি করতে হয়? কি উদ্দেশ্য? আরে জামাত বড়-ছোট হওয়াতে আমার কি আসে যায়? আমার ইচ্ছা ছিল আল্লাহকে খুশি করা। আগামীবার নারীদের জন্যও জামাতের ব্যবস্থা করব। আমি থাকলেও সেটা হবে আমি না থাকলেও তারা ব্যবস্থা করবেন।

শামসুজ্জোহা স্টেডিয়াম, কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের সমন্বয়ে এ ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়। সকাল ৮টায় জামাত শুরু হয়। জামাতে ইমামতি করেন চাষাঢ়া নূর মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুস সালাম।

জামাতে অংশ নেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) জসিম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ হাজার হাজার মুসুল্লি।