লতার গানে রানাঘাটের ভবঘুরে রানুর জীবন যেভাবে বদলে গেলো

ভারতের রানাঘাট স্টেশনে নিত্যযাত্রীদের আবদারে গাইতেন লতা মঙ্গেশকরের গান। এভাবেই চলছিল জীবন। সম্প্রতি লতা মুঙ্গেশকরের গাওয়া ‘এক পেয়ার কি নাগমা হে’ দারুণভাবে গান তিনি। যে গানটি ১৯৭২ সালের ‘শোর’ মুভিতে গেয়েছিলেন লতা মুঙ্গেশকর। সেই গান গাওয়ার ভিডিওটি ফেসবুকের সৌজন্যে ভাইরাল হয়।

‘বার্পেতা টাউন দ্য প্লেস অব পিস’ নামের এক ফেসবুক পেজ ভিডিওটি শেয়ার করে। পেজটির মালিক কৃষান দাস জুবু জানান, ভিডিওটি পশ্চিমবঙ্গের রানাঘাট রেলওয়ে স্টেশনে ধারণ করেন কলকাতার অতিন্দ্র নামের এক ব্যক্তি। পরে তপন নামের আরেক ব্যক্তি ভিডিওটি তার কাছে পাঠিয়ে দেন।

পরে জানা যায় সেই নারীর নাম-পরিচয়। তার নাম রানু মণ্ডল। ফেসবুকের সৌজন্যে ভাইরাল হয় তার গানের ভিডিও। এরপর বদলে যায় রানু মণ্ডলের জীবন। সম্প্রতি পার্লারে গিয়ে একদম বদলে গেছে ভবঘুরে রানু। যেন ফিরে পেয়েছেন নতুন জীবন।

রানাঘাটের কোকিলকণ্ঠী ভবঘুরে রানু মণ্ডল এখন রীতিমতো বিখ্যাত। কলকাতা, মুম্বাই, কেরালা থেকে ডাক আসছে তার। অনেক মানুষদের কাছ থেকেও প্রশংসা পেয়েছেন। ইতিমধ্যেই নানা জায়গা থেকে গানের রেকর্ডিংয়ের প্রস্তাব পাচ্ছেন তিনি।

মুম্বইয়ের একটি রিয়েলিটি শোতে গান গাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন রানু। তার যাতায়াতের খরচও অনুষ্ঠানের কর্মকর্তারা দেবেন। কিন্তু কোনো পরিচয়পত্র না থাকায় তাকে নিয়ে যাওয়ার সমস্যা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে রানুর বদলে যাওয়া ছবি। মুম্বাম্বইয়ের বাবুল মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল রানু মণ্ডলের। স্বামী মারা যাওয়ার পর রানাঘাটে ফিরে আসেন তিনি। রেলস্টেশনে ঘুরে ঘুরে গান গাইতেন। যেসব গান গাইতে গিয়ে বড় বড় গায়ক-গায়িকারা হোঁচট খান, লতার সেসব গান অবলীলায় গাইতেন রানু।