নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট গুলো। পশু যেমন আসছে তেমনি ক্রেতাদের আনাগোনাও বেড়ে চলেছে। তবে ফড়িয়া দালালদের হাত থেকে রেহাইও পাচ্ছেন না কেউ এমন অভিযোগও বাজারে আসা ক্রেতাদের। এসব হাটে বিদেশি জাতের গরুর চেয়ে দেশি গরুর চাহিদা একটু বেশি। গেলো বছরের তুলনায় এ বছর পশুর হাটগুলোতে গরুর দাম নাগালের মধ্যে বলে দাবি ক্রেতাদের। তবে বিক্রেতারা বলছেন, ভারতীয় গরু আসায় এ বছর তাদের তেমন লাভ হবে না। বিক্রেতারা কোরবানি ঈদকে টার্গেট করে ছোট ধরনের দেশীয় গরু কিনে নিজস্ব পদ্ধতিতে মোটাতাজা করছেন। তারা এবার গরুর ভালো দাম পাওয়ার আশা করছিলেন। তবে গোখাদ্যের চড়া দাম আর ভারত থেকে গরু আসায় শেষ পর্যন্ত লাভ হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা। এলাকা সুত্রে জানাগেছে,পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বাগমারা উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা স্থায়ী ও অস্থায়ী হাট-বাজারগুলোতে কোরবানি উপলক্ষে প্রতিদিন ট্রাক,ভুটভটী ও ট্রলিতে করে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু আসছে। তবে বিদেশি বা ফার্মের গরুর চেয়ে দেশীয় জাতের গরু বেশি কিনছেন ক্রেতারা। হাটগুলোতে এ বছর দেশি গরুর চাহিদা বেশি। বিগত যেকোনো বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম অনেক বেশী। তবে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী এ বছর হাটে উঠছে দেশি জাতের গরু। এদিকে,মানুষ সঠিক গরু দিয়ে কোরবানি দিতে পারে তার জন্য প্রতিটি হাটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে টহল টিম মোতায়েন করা হয়েছে। গরুর হাটগুলোতে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে। এছাড়াও হাটগুলোতে জাল টাকার মেশিনের মাধ্যমে টাকা চেক করে নেয়ার জন্য বার বার মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে। অপরদিকে, কোরবানীর ঈদের আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি থাকলেও পশুর হাটে দেশী বিদেশী বিভিন্ন জাতের হাজার হাজার পশুতে বাজার এখন মুখোরিত হয়ে পড়েছে। সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাজার হাজার পশু হাটে উঠছে। দাম ও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। ভারতীয় পশু দেশে আমদানী না হওয়ায় খামারী ও ব্যাবসায়ীরা লাভবান হবেন বলেও তাদের ধারনা। পশু বিক্রিতারা বলছেন,তাহেরপুর পৌরসভার পশুর হাট বাগমারা উপজেলার শ্রেষ্ট হাট শুনে তারা ভুটভটী ও ট্রলিতে করে পশু গুলো এনেছেন। এবং বিক্রি করে মূল্যও ভাল পেয়েছেন। এবিষয়ে প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে জানাগেছে,এবং পশু পালন কমবেশী হয়েছে মানুষের বাড়িতে। এসব পশু বাজারে এলে কোরবানির জন্য পশু সংকট হবে না। আর খামারীরা স্থানীয়ভাবে কোরবানির পশু ও মাংসের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। তাদের এ উদ্যোগ কোরবানির পশু আমদানি নির্ভরতাও কমাবে।