আদর্শবান রাজনীতিবিদ নেই বলেই সমাজে আজ এত অরাজক পরিস্থিতি

পাবনা প্রতিনিধিঃ
বর্তমান রাজনীতিতে আমিনুল ইসলাম বাদশার মত আদর্শবান রাজনীতিবিদ নেই বলেই সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। আদর্শিক রাজনীতির অনুপস্থিতিতে লুটেরা, পেশিশক্তি নির্ভর রাজনীতির কাছে দেশের মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। রাজনীতিতে মেধাবীরা নিরুৎসাহিত হচ্ছে। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমিনুল ইসলাম বাদশার মত রাজনীতিবিদদের জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিতে হবে।


রোববার সন্ধ্যায় পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রয়াত জননেতা আমিনুল ইসলাম বাদশার স্মরণসভায় বক্তারা এ সব কথা বলেন। ডেইলি ষ্টারের পাবনা প্রতিনিধি আহমেদ হুমায়ুন কবীর তপুর সঞ্চালনায় এবং আমিনুল ইসলাম বাদশা ফাউন্ডেশনের আহবায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবির সভাপতিত্বে স্মরণসভায় একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিষ্ট রণেশ মৈত্র, পাবনা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলাম, পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক শিবজিত নাগ, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদ সভাপতি আব্দুল মতীন খান, পাবনা ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি কমরেড জাকির হোসেন, গণতন্ত্রি পার্টি পাবনা জেলা শাখার সভাপতি সুলতান আহমেদ বুড়ো, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক সাংবাদিক এবিএম ফজলুর রহমান, মাছরাঙা টেলিভিশনের উত্তরাঞ্চলীয় ব্যুরো চীফ উৎপল মির্জা, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক আহমেদ উল হক রানা, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বার, শহিদুর রহমান শহীদ, মির্জা আজাদ এবং পরিবার এবং ফাউন্ডেশনের পক্ষে আমিনুল ইসলাম বাদশার সন্তান মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব সাবিরুল ইসলাম বিপ্লব প্রমুখ।


প্রসঙ্গত, গৌরবময় রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী, ভাষা সংগ্রামী, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, ঐতিহাসিক খাপড়া ওয়ার্ডের গুলিবিদ্ধ বিপ্লবী, পাবনার কৃতি সন্তান আমিনুল ইসলাম বাদশা ১৯৯৮ সালের ৪ আগস্ট প্রয়াত হন। তিনি জন্মেছিলেন ১৯২৯ সালের ১৪ এপ্রিল, পাবনা শহরের কৃষ্ণপুর মহল্লায়। খাপড়া ওয়ার্ডের বিপ্লবী, কমিউনিস্ট আন্দোলনের উজ্জল নক্ষত্র, গণতন্ত্রী পার্টির প্রেসিডিয়ামের সদস্য ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম বাদশা।
ছবির ক্যাপশনঃ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আমিনূল ইসলাম বাদশার স্মরণ সভায় একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক রনেশ মৈত্রসহ অন্যান্যরা