মোঃ হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
বৈরি আবহাওয়া থাকা শর্তেও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় চলতি মৌসুমে বর্ষালী (আউশ) ধানের আশানুরুপ ফলন হওয়ায় মহাখুশি কৃষকরা। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে কাটামারাই। পাশাপাশি আমন চারা রোপন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। তবে চরাঞ্চলের কৃষকরা মাথায় হাত দিয়ে বসেছে। বন্যার কারণে চরের বর্ষালী ধান নষ্ট এবং আমনের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে তারা।
ধানের বাজার দর কম জানার পরও বর্ষালী ধান চাষাবাদে আগ্রহ হারাই নাই কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৫ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে বর্ষালী ধানের চাষাবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ২ হাজার হেক্টর বেশি। উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় বর্ষালী ধান চাষাবাদ হয়েছে। তবে চর এলাকার ধানক্ষেত সমূহ বন্যার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। কথা হয় শান্তিরাম ইউনিয়নের কৃষক তারা মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, অল্প খরচে এবং কম সময়ের মধ্যে বর্ষালী ধান চাষাবাদ করা যায়। ইরি বোর ধান কাটার পরপরই বর্ষালী ধানের চারা রোপন করতে হয়। আবার আমন চারা রোপনের আগেই ধান কেটে ঘরে তোলা যায়। তিন চলতি মৌসুমে ২ বিঘা জমিতে বর্ষালী ধান চাষাবাদ করেছে। ইতিমধ্যে ধান কাটামারাই করেছে। বিঘা প্রতি ফলন হয়েছে ১৩ মন। যার দাম সাড়ে ৬ হাজার টাকা। তিনি বলেন ২ বিঘা জমিতে তার খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকা। আয় হয়েছে ৫ হাজার টাকা।
শান্তিরাম ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা নুরুল হুদা আকন্দ জানান, আউশ ধান হচ্ছে বোনাস ফসল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এই ধানের ফলন ভাল হয়। তবে ইরি বোর ও আমনের চেয়ে তুলনামূলক পোকা মাকড় একটু বেশি ক্ষতি করে। চলতি মৌসুমে আউশের ফলন ভাল হয়েছে। দিন-দিন আউশ ধান চাষাবাদে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান, গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে আউশ ধান চাষাবাদের পরিমান বেড়ে গেছে। কৃষকরা আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে এক জমিতে একাধিক ফসল চাষাবাদ করছে।