আর মাত্র দুই সপ্তাহ পর ঈদুল আযাহা (কোরবানীর ঈদ) তাই গরু মোটাতাজাকরন খামারীরা ব্যস্ত সময় পার করছে । দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় এবারের ঈদুল আযাহায় ৫ হাজার ১৫টি খামারে মোটাজাতকরন ষাঁড় পালন করা হয়েছে । কোরবানীর জন্য প্রন্তুত করা হয়েছে ১৯ হাজার পশু।
কুরবানীর ঈদকে লক্ষ রেখে চিরিরবন্দরে হোল্ডিং বাড়ী গুলোতেও গরু মোটাতাজাকরন করা হয় । আর এই কাজটি সম্পূন্ন করছে উপজেলার প্রায় ৭ হাজার ৩ শত ১৫জন গো-খামারী শ্রমিক । অল্প সময়ে কম পরিশ্রমে ষাঁড় মোটাতাজাকরনে লাভজনক হওয়ায় অনেক বেকার যুবক মোটাজাতকরন খামারের পাশাপাশি হোল্ডিং বাড়ীতে দুইটি করে হলেও ষাঁড় পালন করছে। ফলে একদিকে যেমন নিজের বেকারত্ব দুর হচ্ছে অন্য দিকে দেশীয় আমিষের চাহিদা পুরন হচ্ছে।
খামার গুলোতে সরবারাহ করা হচ্ছে কাঁচা ঘাস, চপর, বুসি, আকারী ,খুদি চালের ভাত, ফিট , ভুট্টার গুড়া ,শুকনো খড়সহ ভিটামিন , মিনারেল এবং শর্করা জাতীয় খাবার । এরপর নিয়মিত গো খাবার ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং নিয়মিত গোসল করার চার থেকে ছয় মাস পালন করার পর গরুর মোটাতাজাকরন হয়ে যায় । বিভিন্ন ফার্মে গরুর ক্রেতারা তাদের ইচ্ছামত গরু দেখে গরু ক্রয় করতে পারে ।
এ ছাড়াও হোল্ডিং বাড়ীতে ক্রেতারা গিয়ে গরুর ক্রয় করে নতুবা পার্শ¦বর্তী হাটে গরু ও বেচাকেনা করা হয় । উপজেলার পশু সম্পদ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন এলাকায় পশু চিকিৎসকেরা গরুর খামারীদের খামারে গিয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদান করায় এই এলাকায় গরু মোটাতাজাকরন গো খামারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
সরেজমিনে উপজেলার নশরতপুর ইউপির নশরতপুর গ্রামের বাকালিপাড়ার গো-খামারী মো. আলম হোসেনের খামারে গিয়ে দেখা যায় কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৫১টি ষাঁড়। আনুমানিক এক একটি ষাঁড় ৫০ হাজার টাকা করে হলে যার গড় মুল্য দাড়ায় ২৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
গো-খামারী মো. আলম হোসেন জানান, মাত্র দুটি গরু দিয়ে শুরু করে অল্প পুঁজিতে বেশী লাভ হওয়ায় আমি এবং আমার স্ত্রীসহ দুজন মিলে অনেক পরিশ্রম করে এই ৫১টি মোটাজাতকরন ষাঁড়ের খামার তৈরী করেছি । এখন বর্তমানে আমি স্ত্রী ছেলে সন্তান নিয়ে ভালো আছি।
উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.আবু ছাঈদ জানান, উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তাদের সহযোগিতা ও পরামর্শে গরু মোটাতাজাকরন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এই উপজেলায় এবারে প্রায় ১৯ হাজার ৮ শত ৪ টি গরু ও ১৩ হাজার ১ শত ৪২টি ছাগল/ভেড়া শুধুমাত্র সুষমও গো খাবার সরবরাহ করে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
ক্যাপশন: চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউপির নশরতপুর গ্রামের বাকালিপাড়ার গো-খামারী মো. আলম হোসেনের খামারে গরু পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় ব্যস্ত সময় পার করছে ।