মোঃ হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
ভয়াবহ বন্যায় চরাঞ্চলের ব্যাপক বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেই নষ্ট হওয়া বীজতলাকে পুশিয়ে নিতে ভাসমান বীজতলা প্রস্তুত করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি দপ্তরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের মাঝে ভাসমান বীজতলা তৈরির জন্য উদ্বুদ্ধকরণ করা হচ্ছে। এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় চরবাসীর জন্য কমিউনিটি বীজতলা তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অনেক ব্যবসায়ীও জমি বর্গা নিয়ে ভাসমানসহ কমিউনিটি বীজতলা তৈরি প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ব্রি-৫১ জাতের ধান বন্যা মোকাবেলায় অত্যন্ত উপযোগী। এই জাতের ধান ১৪ দিন পর্যন্ত পানির নিচে ডুবে থাকলেও ক্ষতির সম্ভবনা কম। রামজীবন ইউনিয়নের কৃষক রাজু মিয়া জানান, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার নিকট পরামর্শ নিয়ে আমি দুইটি ভাসমান বীজতলা তৈরি করেছি। প্রতিটি বীজতলায় প্রায় ১০ কেজি করে ধান বপন করা হয়েছে। রাজু মিয়া জানান, যদি কোন দুর্যোগ না হয় তাহলে এই বীজ দিয়ে প্রায় দেড় একর জমিতে চারা লাগানো যাবে। এভাবে উপজেলায় প্রায় ২৫টি ভাসমান বীজতলায় ইতিমধ্যে চারা গজিয়েছে। উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের বোচাগাড়ি গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, তার ৫ শতক জমির উঠতি বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এ অবস্থায় চরের মধ্যে বীজতলা প্রস্তুত করা সম্ভব নয়। যদি চারা না পাওয়া যায় তালে তার ৫ বিঘা জমি চাষাবাদ করা সম্ভব হবে না। সে ক্ষেত্রে সংসার পরিচালনা করা তার জন্য কষ্ট হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান, বন্যা মোকাবেলায় কৃষিক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভাসমান বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে কমিউনিটি বীজতলা প্রস্তুতির প্রক্রিয়া চলছে।