টাঙ্গাইলের কালিহাতীর সয়া হাটে ছেলেধরা সন্দেহে গনপিটুনিতে নিহতের মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সোমবার দিবাগত গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে কালিহাতি থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃতরা হলো ঘাটাইল উপজেলার সিংগুরিয়া প্রকাশ তালতলা গ্রামের হানুক মন্ডলের ছেলে রুবেল (২২),একই গ্রামের তালেব বাদশার ছেলে শামীম মিয়া (২০)। আসামীদের ৩০ জুলাই হত্যামামলায় আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
জানা যায়, ভুঞাপুরের টেপিবাড়ি গ্রামের ভ্যাচালক মিনু মিয়া কারেন্ট জাল কেনার জন্য পার্শ্ববর্তী কালিহাতী উপজেলার সয়া হাটে যায়। সেখানে ছেলেধরা সন্দেহে তাকে বেদম গণপিটুনি দেয়া হয়। প্রথমে তাকে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকাতে শেফার্ড করা হয়। কয়েকদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ২৯ জুলাই তার মৃত্যু ঘটে। ঘটনাটি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পুলিশের হাই কমান্ডেরও টনক নড়ে যায়।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফারুক হোসেন ২৯ জুলাই রাত দুইটার দিকে কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ও ঘাটাইল উপজেলার আনেহলা ইউপির সিংগুরিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে এস আই লুৎফর রহমানসহ সঙ্গীত ফোর্স নিয়ে ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে সনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে উক্ত দুই আসামীকে গ্রেফতার করেন। এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফারুক হোসেন বলেন, ” দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
উল্লেখ্য, নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার মিনু মিয়াকে পিটুনির সময় এ অঞ্চলের প্রায় ৮/১০ মাদকাসক্ত বখাটে যুবক কালিহাতী উপজেলার মাদারিয়া পাড়ার লাল মিয়ার অটোতে করে সয়ার হাটে যান এবং মিনু মিয়াকে হত্যার ঘটনায় তারা প্রধান ভুমিকা পালন করে।মিনু মিয়াকে বেদম মারপিট করে এলাকায় গিয়ে তারা রক্তমাখা জামা সবাইকে প্রদর্শন করে গর্ব করে হত্যাকান্ডে নিজেদের অংশ গ্রহনের কথা প্রচার করে। নির্মম এ হত্যাকান্ডের ভিডিও চিত্রে লাল মিয়া সহ তার এলাকার এক দল যুবকদেরকে দেখা যায় বলে এলাকার সাধারন জনগন জানিয়েছেন।