নাটোর প্রতিনিধি
বৃহত্তর রাজশাহীর প্রবেশদ্বার বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাইপাস মোড়ে আরসিসি ঢালাই কাজে ধীরগতির কারণে পথচারীসহ যান চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে আরসিসি ঢালাই দেওয়ায় কারণে রাস্তার টেকসই করবে না বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা । প্রায় চার মাস যাবৎ গুরুত্বপূর্ণ এ জায়গার সংস্কার কাজ চলায় যানজট এখানে নিত্যদিনের ঘটনা। মহাসড়কের তিনদিকে যানজট লেগে শ’ শ’ যানবাহন আটকা পড়ে যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সবচেয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্সের যাত্রীরা। এছাড়া একই লেনে সব যানবাহন চলায় প্রায়ই ছোটবড় দুর্ঘটনায় প্রাণহানীসহ আহতের ঘটনা ঘটছে।
জানা গেছে, নাটোর-পাবনা-খুলনা ও বনপাড়া-হাটিকুমরুল-ঢাকা মহাসড়কের সংযোগ স্থল বনপাড়া বাইপাস মোড়। প্রতিদিন এ রাস্তায় দক্ষিণাঞ্চলসহ বৃহত্তর রাজশাহীর হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। দীর্ঘদিন যাবৎ বাইপাস মোড় এলাকার রাস্তা ভেঙ্গে পড়ে যান চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ায় মোড়ের তিনটি রাস্তা আরসিসি ঢালাই করার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ। চুক্তি অনুযায়ী গত ৩০ মে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু গত প্রায় চার মাস যাবৎ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় নির্ধারিত সময়ের প্রায় দেড় মাস পরেও প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। বৃষ্টির আগে সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। মহাসড়কের এক লেন উপড়ে ঢালাই কাজ করায় বাকি এক লেন দিয়ে উভয়মুখী যানবাহন চলাচল করছে। এতে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। গত চার মাসে এখানে সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে তিনজন নিহত হওয়াসহ বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া মহাসড়কের দুই লেনের মধ্যে এক লেন সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ থাকায় এখানে প্রতিদিনই যানজটের ঘটনা ঘটছে। এতে দুর্ভোগের পাশাপাশি যানবাহনে চলাচলকারী লোকজনের কর্মঘন্টা নষ্ট হচ্ছে।
বনপাড়া এলাকার টিকেট মাষ্টার বাবু জানান, প্রতিদিন মহাসড়কের তিন দিকে যানজটের সৃষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে রাত ৮-৯টা পর্যন্ত প্রায় দেড়-দুই কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে যাত্রীসহ সাধারণ লোকজনের দুর্ভোগের সীমা থাকে না।
কালিকাপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সোবহান জানান, গেল রোজারও অনেক আগে কাজ শুরু করেছে। কিন্তু ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে দীর্ঘ সময়েও কাজ শেষ হয়নি। এছাড়া নি¤œমানের উপকরণ দিয়ে ঢালাই দেওয়ার কারণে রাস্তাটি বেশিদিন টিকবে না ।
নাটোর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল কাজ শেষ হতে বিলম্বের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে আমরা নিয়মিত তদারকি করছি। ঈদের আগে মহাসড়ক চালু করার চেষ্টা চলছে।