ইয়ানূর রহমান : এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ করার এক সপ্তাহ পার হলেও যশোর শিক্ষা বোর্ডে ফলাফল পায়নি ২০ জন পরীক্ষার্থী। অনলাইনে তাদের ফলাফল স্থগিত দেখিয়েছে। এ কারণে এসব শিক্ষার্থী এখনও পর্যন্ত জানতে পারেনি তারা পাস নাকি ফেল করেছে। ফলাফল স্থগিত থাকা এ রকম শিক্ষার্থীরা ফলাফল জানতে শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করেছে বলে জানা গেছে।
তবে বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে কেন্দ্র সচিবদের ভুলের কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। সমস্যাটি বোর্ডের ফলাফলের হার বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলাফল না পাওয়া কোনো শিক্ষার্থী আবেদন করলে তার ফলাফল জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্র সচিবদের সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে।
গত ১৭ জুলাই যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন। কিন্তু ভালো পরীক্ষা দিয়েও এখনও পর্যন্ত ফলাফল পায়নি অনেক পরীক্ষার্থী বলে তাদের অভিযোগ। এ ঘটনায় তারা হতাশা প্রকাশ করেছেন। বুধবার বোর্ডে গিয়ে এমন তথ্য জানা গেছে।
পরীক্ষার ফলাফল না পাওয়া পরীক্ষার্থী হলেন, বাগেরহাট মোড়েলগঞ্জের রওশন আলী মহিলা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মিস রেহেনা। তার রোল ২০৮৮১৯। আবেদন করা আরেক পরীক্ষার্থী যশোর দাউদ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে অংশ নেয়া সোহানা জামান। তার রোল ১০৯০১৩। তাদের দাবি তারা ভালো পরীক্ষা দিয়েছে। ফলাফলও ভালো হবে। কিন্তু ফলাফল জানতে না পারায় তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষা বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উচ্চ মাধ্যমিক) সমীর কুমার কুন্ডু জানান, অনেক সময় কেন্দ্র সচিবরা যথাসময়ে অনেক পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর পাঠাতে ভুল করেন। অথবা কিছু পরীক্ষার্থীর নম্বর পাঠাতে বাদ পড়ে। এসব পরীক্ষার্থীর ফলাফল স্থগিত রাখা হয়। পরে তারা আবেদন করলে ফলাফল স্থগিত রাখার বিষয়টি সমাধান করে দেয়া হয়। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সচিবদের সতর্ক করে দেয়া হয়। তারা যাতে এ রকম ভুল আর না করেন। অথচ পরীক্ষার আগে বোর্ডে সব কেন্দ্র সচিবদের নিয়ে মতবিনিময়সভা করা হয়। ওই সভায় পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়। সভায় কেন্দ্র সচিবদের নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয় অঙ্গীকার করা হয়। পাশাপাশি অনলাইনে যথাসময়ে ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর পাঠাতে বলা হয়। এরপর কেন্দ্র সচিবরা যথা সময়ে ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর না পাঠানো ও পাঠাতে ভুল করায় পরীক্ষার মূল ফলাফল প্রকাশের পরও নিজেদের ফলাফল জানতে পারেনি অনেক পরীক্ষার্থী।
এ ব্যাপারে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল আলিম জানান, যেসব পরীক্ষার্থীর ফলাফল স্থগিত রয়েছে যাচাই-বাছাই করে তাদের ফলাফল দেয়া হবে। কিছু শিক্ষকদের ভুলের কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ সঠিক কাজের বিষয়টা বুঝতে চেষ্টা করেন না। যদি তারা মারাত্মক ভুল করেন তাহলে তাদের কেন্দ্র সচিবের পদটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয় ৷